কয়েকদিন আগেই মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্য়ে খুশিতে মেতেছিলেন আমির খান ও তাঁর গোটা পরিবার। গোটা খান পরিবারে ছিল খুশির আবহ। এরই মধ্যে হঠাৎ করে আশা একটা খারাপ খবরে মন খারাপ আমিরের। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বন্ধু কন্যার, পাশে দাঁড়াতে গুজরাটে উড়ে গেলেন আমির খান। আমির এই মুহূর্তে রয়েছেন গুজরাটের কচ্ছ জেলায়।
কচ্ছ জেলার কোতাই গ্রামে হঠাৎই এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আমিরের বন্ধু মহাবীর চাঁদের মেয়ের। খবর পাওয়া মাত্রই বিমান ভাড়া করে কচ্ছ পৌঁছে যান আমির। সুপারস্টারের কচ্ছ যাওয়ার একটা ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা যাচ্ছে কচ্ছর কোতাই গ্রামের বাসিন্দা মহাবীর চাঁদের সঙ্গে আমিরের বন্ধুত্ব সেই 'লগান'-এর শ্যুটিংয়ের সময় থেকে।
এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে আমির খান জানান, ‘আমি এই খারাপ খবরটা পেয়ে হঠাৎ করেই এখানে চলে এসেছি। আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু দানা ভাই, ভূজের কাছে কোতাই গ্রামের বাসিন্দা। লাগানের সময়, আমরা এখানে প্রায় এক বছর ছিলাম, সেসময় ছয় মাস শুটিং করেছি। দানা ভাই তখন আমাদের অনেক সাহায্য করেছিলেন। এটা একটা পারিবারিক সম্পর্কের মতো হয়ে উঠেছিল। গতকাল, আমি ওঁর পরিবারে ঘটে যাওয়া এই খারাপ খবরটা জানতে পারি। ওঁর মেয়ে এক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। আমি শুনে হতবাক হয়েছিলাম, তাই আমি ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এখানে এসেছি।’
আরও পড়ুন-ঋতুমতী হওয়ার পর ভাইয়ের থেকে লুকিয়ে প্যাড ফেলতে গিয়েছিলেন, সুশান্ত সেদিন বলেন…অকপট শ্বেতা
আমির আরও জানান, ‘আমি যখন এই খারাপ খবর শুনি তখন আমি দক্ষিণে, সঙ্গে সঙ্গেই আমি আমার অন্য পরিকল্পনা পরিবর্তন করে এখানে চলে এসেছি। জীবন অনিশ্চিত এবং সবাইকে অবশেষে এই দুঃখজনক মুহুর্তের মুখোমুখি হতে হয়। দুঃখের সময়ে, আমি আমার বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে, ওঁর কাছে থাকতে চেয়েছিলাম। সন্তান হারানো যে কোন বাবা-মায়ের কাছেই অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন।’
প্রসঙ্গত, আমির খান এই মুহূর্তে তাঁর আগামী ছবি 'লাহোর: ১৯৪৭'-এর কাজ নিয়ে ব্যস্ত। রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত এই ছবির কাজ শুরু হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। যে ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের কথা রয়েছে সানি দেওলের।