আরও এক তারকা বিজেপি ছাড়লেন। সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি দলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিঁড়ে বেরিয়ে এলেন কাঞ্চনা মৈত্র। বহুদিন ধরেই তিনি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন। তাঁকে বিগত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে দেখাও যায়নি। এদিন তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে দল থেকে বেরিয়ে আসেন। শীর্ষ নেতৃত্বকে নাম না করে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না এই অভিনেত্রী।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বিজেপি শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। একের পর এক তারকা গেরু শিবির ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগেই বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল দলবদল করেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই বিজেপি ছাড়লেন কাঞ্চনা মৈত্র। তিনি ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে দলের সভাপতিকে দলত্যাগ করার কথা জানান। এরপরই তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি পোস্ট করতে দেখা যায়। লেখেন, ‘কাজ ও পরিবারকে সময় দিতে চাই…তাই পার্টি আর রাজনীতিকে বিদায় জানালাম।’
সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, 'পরিবারকে এবং কাজে সময় দিতে চাই।' তবে আচমকা এই সিদ্ধান্ত কেন নিলেন অভিনেত্রী? সেই প্রসঙ্গে তিনি কিছু জানাননি অবশ্য। কিন্তু দলকে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিলেন। পুরনো কর্মীদের প্রতি যত্ন নিতে বলেন তিনি।
বিজেপিতে এই নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব যে আজকের বিষয় নয় এটা তো জানা কথাই। এবার সেই কথার আভাস আরও একবার মিলল কাঞ্চনার পোস্টেও।
২০১৯ সালে বিজেপি জয়েন করেন কাঞ্চনা। তাঁর সঙ্গে আরও অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে এরপর বিজেপির একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তারপর থেকে তাঁকে ক্রমেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা যায়। কোনও কর্মসূচিতে আসছিলেন না। তারপর আচমকাই তিনি দলত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসেনি বলে তিনি দলত্যাগ করলেন এমনটা মোটেই নয় বলেই অভিনেত্রী জানিয়েছেন। তাঁর স্পষ্ট কথা, 'আমি কিছু পাওয়ার আশায় বিজেপিতে যাইনি। তাই কেউ ভাববেন না দল ক্ষমতায় আসেনি বলে বিজেপি ছাড়লাম। আমি এখন পরিবার আর কাজকে সময় দিতে চাই।'