মঙ্গলবারই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন টুইটারে। অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় টুইট করেছিলেন ‘সংযত’ হওয়ার বার্তা দিয়ে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। রাজ্যজুড়ে হিংসা বলতে গেলে ক্রমবর্ধমান। বুধবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
স্বস্তিকা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক হিংসা এমন একটা শব্দ যার সঙ্গে ভারতবর্ষ এমনকী পশ্চিমবঙ্গ গত দু' দশক ধরে পরিচিত। একইরকম ভাবে এই ভোটের পরেও রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি শুরু হয়ে গিয়েছে। মানুষ মানুষকে মারছে, ঘর-পার্টি অফিস আগুন ধরাচ্ছে…’
হিংসার মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্দিষ্ট দু'টি দলকে। তারই উল্লেখ করে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘কিন্তু রাজনৈতিক হিংসা শুধু কি মাত্র নির্দিষ্ট দল, নির্দিষ্ট মানুষকে টার্গেট করে? মনে হয় না। যাদের উল্লেখ নেই, যাদের কথা মিডিয়া তুলে ধরছে না, তাদের ওপরেও আঘাত কম আসছে না… কোনও নির্দিষ্ট দলের উর্দ্ধে যাওয়ার সময় আমাদেরও এসেছে, পশ্চিমবঙ্গেরও এসেছে।’
রেড ভলেন্টিয়ার্সরা যেভাবে সামনের সারিতে থেকে এই করোনার সময়ে সাধারণ মানুষের সেবা করে চলেছেন তাঁর প্রশংসা করেছেন অভিনেত্রী। লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ রেড ভলেন্টিয়ার্স। এভাবে সামনের সারিতে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়ার জন্য।’
ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানিয়ে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এরকম একটা সময়েও যারা আর্তের সেবা ছেড়ে দৌরাত্মে ব্যস্ত, তাদেরকে সুবুদ্ধি দিন পরমেশ্বর।’
প্রসঙ্গত, ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ বাহিনী তৈরি করেছিল যুব সিপিএম। তবে, বর্তমানে রেড ভলেন্টিয়ার্সের ফেসবুক পেজে রয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ। শুধু সিপিএমের সমর্থরা নন, সেখানে রয়েছেন চিকিৎস, নার্স-সহ সমাজের নানা জগতের মানুষ। তাই এটা আর কোনও নির্দিষ্ট দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বলেই মনে করেছেন স্বস্তিকা। আর তাই ‘বিপদের বন্ধু’দের ওপর হওয়া হামলায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।