মুম্বই পুলিশের তরফে তিন নম্বরবার সমন জারি হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের নামে। আজ বান্দ্রা থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল কঙ্গনার, অভিনেত্রীর সেখানে দেখা না মেলেনি। তবে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেখানে নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন জানালেন এই বলিউড অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিবৃতি দিচ্ছেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি-এই অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে বান্দ্রার এক আদালত মুম্বই পুলিশকে নির্দেশ দেয় দুৃজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে উপযুক্ত তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।
বান্দ্রা মেট্রোপলিটন আদালতের নির্দেশে মুম্বই পুলিশ গত মাসে কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতাসহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করে। কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দের পিটিশনের শুনানিতে কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি জানান, কঙ্গনা এবং রঙ্গোলি বম্বে হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন, সেখানে এই এফআইআর এবং ম্যাজিস্টেটের অর্ডার খারিজ করবার কথা বলা হয়েছে'।
কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে জারি সমনের উপর আপতত স্থগিতাদেশ জারি করবার এবং পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের থেকে রেহাই চাওয়া হয়েছে পিটিশনে। পাশাপাশি মুম্বই পুলিশ এই মামলায় যাতে কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিতে পারে সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পিটিশনে।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এমনই অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ [এ], ১২১, ১২১ [এ], ১২৪, ১৫৩[এ], ১৫৩[বি], ২৯৫[এ], ২৯৮ এবং ৫০৫ নম্বর ধারায় কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এই মামলায় প্রথমে ২৬ ও ২৭ অক্টোবর বান্দ্রা থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কঙ্গনা ও রঙ্গোলিকে, তবে আইনজীবী মারফত তাঁরা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেই সমন এড়িয়ে যান। এরপর গত ১০ নভেম্বর কঙ্গনাকে মুম্বই পুলিশের সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সমন জারি করে। কিন্তু সেইসময় ভাইযের বিয়ের জন্য উদয়পুরে ছিলেন নায়িকা। এরপর ২৩ নভেম্বর (আজ) এবং ২৪ নভেম্বর তৃতীয় দফার সমন জারি হয় কঙ্গনা ও রঙ্গোলির নামে। যার বিরুদ্ধে এবার উচ্চ আদালতে কঙ্গনা রানাওয়াত।