কর্মসূত্রে বেশ কয়েকমাস ধরে লন্ডনই স্থায়ী ঠিকানা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। আর লন্ডনে থেকে মেয়েদের (একক) উইম্বলডন ফাইনাল দেখবার লোভ সামলাতে পারেননি দেশি গার্ল। এদিন উইম্বলডনের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন ইংল্যান্ডের রাজ পরিবারের সদস্যরা। পৌঁছেছিলেন যুবরাজ,ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম, সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী ডিউক অফ কেমব্রিজ কেট মিডলটনও। ভিভিআইপি গ্যালারিতে ব্রিটেনের রাজ পরিবারের সদস্যদের পাশে বসেই ম্যচ দেখলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
এদিন উইম্বলডন ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের কারোলিনা প্লিসকোভার এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টি। ৬-৩,৬-৭.৬-৩- সেটে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে বার্টি। এদিন এই ২৫ বছর বয়সী বিশ্বের এক নম্বর মহিলা টেনিস প্লেয়ারের হাত ধরেই অস্ট্রেলিয়ার ৪১ বছরের উইম্বলডন খরা কাটল।
রেড কার্পেট হোক বা খেলার মাঠ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ফ্যাশন আর স্টাইল স্টেটমেন্ট সর্বদাই নজরকাড়া। এদিন হাই নেক, ফুল স্লিভস সাদা ফ্লোরাল ড্রেসে সেজেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এদিন উঁচু করে বাঁধা ছিল পিগি চপসের চুল এবং পায়ে ছিল কালো-সোনালি স্টিলেটো, হাতের ট্যান ব্যাদ এবং কোমর বন্ধনীও বেশ নজরকাড়া।
এদিন উইম্বলডনের মহিলাদের ফাইনাল দেখতে হাজির ছিলেন হলিউড তারকা টম ক্রুজ, ডেম ম্যাগি স্মিথেরাও। এছাড়াও মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, বিল্লি জেন কিং-এর মতো টেনিস লেজেন্ডরাও হাজির ছিলেন গ্যালারিতে।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অবশ্য পুরোনো যোগাযোগ করেছে। প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার জমাটি বন্ধুত্ব। হ্যারি-মেগ্যানের বিয়ের খাস অতিথি হিসাবে বার্কিংহাম প্যালেসে হাজির হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা।