‘রামপ্রসাদ’-এর আগমনে স্লট বদল নয়, চিরতরে বিদায় নিচ্ছে ঝোড়া-মহার্ঘ্যরা? টেলিপাড়ায় গত কয়েকদিন ধরেই এই জল্পনা। সূত্রের খবর, ‘গুড্ডি’র স্লটে (বিকাল ৫.৩০টা) ‘বালিঝড়’ চালাতে আগ্রহী নয় চ্যানেল। তাই মাত্র দু-মাসেই ইতি পড়ছে ‘বালিঝড়’-এর সফরে।
শুরু থেকেই টিআরপি তালিকায় এক্কেবারে প্রভাব ফেলতে পারেনি তৃণা সাহা-কৌশিক রায় এবং ইন্দ্রাশিস রায় অভিনীত এই মেগা। দু-বছর পুরোনো মেগা ‘মিঠাই’কে টেক্কা দেওয়া তো দূর অস্ত, মিঠাইয়ের ধারে-কাছেও ঘেঁষতে পারেনি। অগত্য়া ‘বালিঝড়’-এর উপর কোপ পড়ছে। গত ৭ই এপ্রিল ‘রামপ্রসাদ’-এর স্লট ঘোষণা করে চ্যানেল। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৭ই এপ্রিল থেকে এই পিরিয়ড ড্রামা সম্প্রচারিত হবে ‘বালিঝড়’-এর স্লটে। তাহলে ঝোড়া-মহার্ঘ্যদের ভবিষ্যত কী? সেই নিয়ে চুপ চ্যানেল। কিন্তু এর মাঝেই নায়িকা তৃণা সাহার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নজর আটকে সবার।
সোমবার একটি ফ্যানপেজের ইনস্টা পোস্ট নিজের স্টোরিতে শেয়ার করেন তৃণা। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ঝোড়ার মহার্ঘ্যর প্রতি একটু একটু মুগ্ধ হওয়া, মায়ায় পড়া….. দুজনের রসায়ন জাস্ট তৈরি হওয়া! শ্বশুর মশাইয়ের সঙ্গে ঝোড়ার বন্ডিং, সমুদ্র সেনের পর্দা ফাঁস, ঝোড়ার রাজনীতে পা…. সব হেরে গেল রেটিং-এর কাছে! ভাগ্য খারাপ না হলে গল্প, অভিনয় কোনও ক্ষেত্রেই ঘাটতি রাখেনি টিম’। আরও একটি পোস্ট শেয়ার করেন অভিনেত্রী। যা করেছে কৌশিক-তৃণা জুটির এক ভক্ত। তাঁর প্রশ্ন, ‘তোমাদের ছেড়ে আমরা থাকব কী করে? তৃশিক জুটি সেরা ছিল, আছে আর থাকবে’। রেটিং না পেলেও ফ্যানেদের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত নন তৃণা, কৌশিকরা তা স্পষ্ট এই পোস্টগুলিতেই।
অনেক আশা জাগিয়ে গত ৬ই ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ম্যাজিক মোমেন্টসের এই মেগা। কাস্টিং-এ ছিল চমক। ‘খড়কুটো’র মতো হিট মেগার পর ফের একসঙ্গে তৃণা-কৌশিক, সঙ্গে ‘ধুলোকণা’র লালন ইন্দ্রাশিস। তবে অনেকেই বলেছিলেন, ‘কাস্টিং এতটাই রিপিট করা, যে কখনও গুলিয়ে যায় বালিঝড় দেখছি না ধুলোকণা কিংবা খড়কুটো!’ হিট জুটির রসায়ন কাজে এল না নাকি গল্পই দাগ কাটতে ব্যর্থ হল? এই প্রশ্নের উত্তরই বোধহয় খুঁজতে ব্যস্ত নির্মাতারা।
টিআরপি-র জেরেই ‘বালিঝড়’-এর উপর অকালেই কোপ পড়ছে। সিরিয়াল শেষ হোক বা কয়েকদিনের জন্য স্লটবদল, দুই ক্ষেত্রেই মুখ পুড়ল গোটা টিমের। প্রসঙ্গত, বছর খানেক আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃণা জানিয়েছিলেন, টিআরপি নিয়ে মাথা ঘামান না তিনি। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘টিআরপি নিয়ে আমার জন্য় ওতোটাও ম্যাটার করে না, যতটা নীলের জন্য়। আমারা দুটো জিনিসকে ভীষণ আলাদাভাবে দেখি। আমাদের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা নেই, আমরা পরস্পরকে সবসময় অনুপ্রাণিত করি। পরস্পরের কাজের সমালোচনাও করি। কিন্তু কখনও বলি না, তোরটা কম দেখ, আমারটা বেশি। এটা হয় না।’ বালিঝড় বন্ধ হওয়ার জল্পনা নিয়ে একদিকে যখন টেলিপাড়া তোলপাড় তখনই বিদেশে ‘বাংলা মিডিয়াম’-এক শ্যুটিং সেরে ফিরেছেন নীল-তিয়াসা।