বেশ করেছি প্রেম করেছি! আকারে-ইঙ্গিতে নয়, এবার প্রকাশ্যেই এমনটা জানিয়ে দিলেন আদৃত রায়। অনস্ক্রিন দিদির সঙ্গে বাস্তবে মিঠাইয়ের নায়কের প্রেম ঘিরে গত এক বছর ধরে তোলপাড় নেটপাড়া। নতুন বছরে জুটি বিয়ের গুঞ্জন দানা বেঁধেছিল। আপাতত তা খানিক থিতু হয়েছে। কিন্তু সোশ্যালে দুজনের পিডিএ যেন ক্রমেই
মিঠাই শেষ হয়েছে বছর ঘুরতে চলল, কিন্তু উচ্ছেবাবুর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি একবিন্দু। আপতত ছোটপর্দার গণ্ডি ছেড়ে নতুন করে রুপোলি সফরের প্রস্তুতিতে আদৃত। কিন্তু টেলিভিশনের খুঁটিনাটিতে নজর রাখছেন সবসময়। রাখবেন না কেন! আদৃত-প্রিয়া কৌশাম্বি এখন কাজ করছেন জি বাংলার ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকে।
রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জি বাংলা সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড। সেখানেই সেরা জা-এর পুরস্কার পেয়েছেন ফুলকির জা পারোমিতা মানে কৌশাম্বি চক্রবর্তী। প্রেমিকার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আদৃত। সোশ্যাল মিডিয়ায় হবু বউকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কৌশাম্বির একটি ট্রফি হাতে ছবি পোস্ট করলেন।
ছবিতে সরু ফিতের লাল ব্লাউজে ধরা দিলেন অভিনেত্রী, পরনে অফ হোয়াইটের উপর সোনালি কাজ করা শাড়ি। গলায় কোনও অলঙ্কার নেই, কানে ঝোলা দুল, খোলা চুলে অসম্ভব স্নিগ্ধ লাগছে তাঁকে। কৌশাম্বির এই ছবি শেয়ার করে আদৃত ক্যাপশনে আদৃত লেখেন, ‘অভিনন্দন’।
ভক্তরা মুগ্ধ আদৃতের এই সমর্থনে। এমন সাপোর্টিভ পার্টনারই তো সবাই চায়! বলছে তাঁরা। এক আদৃত ভক্ত লেখেন, ‘কৌশম্বি দিদি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে কিন্তু আদৃতদা বোধহয় অনেকটাই বেশি খুশি হয়েছে’।
কৌশাম্বির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে সুপ্রিয়া মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কে ছিলেন আদৃত। ২০২২-এর ডিসেম্বরে বিয়ের তারিখও পাকা ছিল দুজনের। কিন্তু ভেস্তে যায় সেই বিয়ে, শোনা যায় আদৃত-কৌশাম্বির ঘনিষ্ঠতার জেরে ভাঙে সুপ্রিয়া-আদৃতের বহু পুরোনো প্রেম। ২০২৩-এর গোড়ার দিকেই নিজের নতুন জীবনসঙ্গী খুঁজে সম্পর্কে অফিসিয়্যাল সিলমোহর দেন আদৃতের প্রাক্তন। আদৃত আপাতত ব্যস্ত নিজের কামব্যাক ছবি ‘পাগল প্রেমী’ নিয়ে। যা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন অভিরূপ ঘোষ। ওদিকে ফুলকি-র সেটেই সময় কাটছে কৌশাম্বির।
সিরিয়ালে ফুলকির বড় জা, পারোমিতার চরিত্রে তিনি। নন্দার মতো প্রাণোচ্ছ্বল নয়, বরং পারোমিতা অনেক বেশি স্থির, মার্জিত। রোহিতের দাদার মৃত্যুর পর অকাল বৈধব্য নেমে এসেছে তাঁর জীবনে। তবুও হাসিমুখে পরিবারের সব দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসে সে। ফুলকিকে বড় দিদির মতো আগলে রেখেছে। যোগ্য হিসাবেই প্রিয় জা-এর সম্মান গিয়েছে কৌশাম্বির ঝুলিতে, একমত নেটপাড়া।