তুনিশা-শিজানের আলিবাবার সেটে করা হল রং, দেওয়া হল পুজো! কাজ শুরু নতুন উদ্যমে

আলিবাবা-র সেটে ফের শুরু হল কাজ। তুনিশা আর শিজানের জায়গায় নেওয়া হল অভিষেক নিগমকে। তবে তুনিশার চরিত্রটিকে শেষ করে দেওয়া হবে ধারাবাহিকে। সেই জায়গায় নতুন চরিত্র ঢুকিয়ে ঘোরানো হবে গল্পের মোড়।

কাজ শুরু হল আলিবাবার সেটে। 

‘আলিবাবা: দাস্তান-এ-কবুল’-এর সেটে অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল সকলকে। ২৪ ডিসেম্বর মারা যান তুনিশা। কদিন কাজ বন্ধই ছিল। তবে সায়ন্তনী ঘোষ সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন ফের শুরু হয়েছে শ্যুটিং। 

তুনিশা আর শিজান সম্পর্কে ছিলেন বলেই খবর এসছে। তুনিশার মৃত্যুর দিনকয়েক আগেই তা ভেঙে যায়। তারপর থেকে জেলে আছেন শিজানও। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তাঁর উপরে। শিজানের নামে থানায় এফআইআর করেছিলেন তুনিশার মা-ই। 

‘লোকেশন নিয়ে আমাদের একটু আপোস করে চলতে হচ্ছিল। তবে প্রযোজনা সংস্থার তরফে আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে এবং ইতিবাচকতার পরিবেশ তৈরি করাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তাঁরা নতুন করে সেটে সাদা রং করিয়েছে। অনেক লাইট লাগিয়েছে। পেইন্টিং ঝুলিয়েছে। গতকাল ওরা সেট খোলে এবং সেটে পুজোও করায়।’

এদিকে, ফের শিজানের জামিন খারিজ হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরডি দেশপান্ডে ২৮ বছর বয়সীকে জামিন দিতে অস্বীকার করেন। ২৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল শিজানকে। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে কারাবাস করছেন। অভিনেতার আইনজীবী শৈলেন্দ্র মিশ্র এবং শরদ রাই জানিয়েছেন এবার তাঁরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে যাবে।

বিচারপতি জানান, ‘আমার বিবেচনায় তুনিশার ব্রেকআপ একটি স্বীকৃত অবস্থান। পরের দিনই তার প্যানিক অ্যাটাক হয়। তার মন খারাপ হয়ে যায়। ওই দিন (২৪ ডিসেম্বর) তাঁকে শেষবার সিসিটিভি ফুটেজেও শেহজানের সঙ্গে দেখা যায়। তাই বিবেচিত মতামতেই আমি জামিনের আবেদন প্রত্যাক্ষাণ করছি।’

শিজানের আইনজীবী ও পরিবারের তরফে আবার তুনিশার আত্মহত্যার জন্য দায়ি করা হয়েছে তুনিশার মাকে। দাবি মেয়ের খেয়াল নিতেন না বনিতা। টাকাপয়সাও দিতেন না হতে। মাঝেমাঝে খাবার খাওয়ারও পয়সা থাকত না। কোথাও ঘুরতে যেতে দিত না। জোর করে কাজে পাঠাত।

তুনিশার এক বন্ধবী শিজানের ব্যাপারে মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, , ‘শিজানের সুপরুষ চেহারা ও স্বভাবের কারণে মেয়েরা চট করে ওর প্রেমে পড়ত। আর শুধু সেক্সের জন্যই ও সম্পর্কে জড়াত। নিজের যৌন লালসা মেটানোর জন্য আরও অনেক মেয়েকে ব্যবহার করেছেন শিজান। ভালোবাসা আর প্রতিশ্রতির নামে সবাইকে ঠকিয়েছে।’