টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত জুটি এখন অহনা দত্ত আর দীপঙ্কর রায়। অহনাকে এখন দেখা যাচ্ছে অনুরাগের ছোঁয়াতে। যেখানে তিনি খলনায়িকা মিশকার চরিত্রে। অবশ্য অহনার মনের মানুষ সরাসরি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নন, কাজ করেন ক্যামেরার পিছনে। পেশায় তিনি মেকআপ আর্টিস্ট। যুক্ত রয়েছেন অনুরাগের ছোঁয়াতেই। আর সেই সূত্রেই দুজনের আলাপ।
অহনা আর দীপঙ্কর নিজেদের নানা ধরনের ভিডিয়ো প্রায়ই শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর তা পছন্দও করেন নেটিজেনরা। এবারে টিভির মিশকা যে ভিডিয়োটি দিলেন সেখানে দেখা গেল খালি গায়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছেন দীপঙ্কর। আর সেটা লুকিয়ে লুকিয়েই ভিডিয়ো করছিলেন অহনা। তবে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই এক ছুটে কম্বলের তলায় গিয়ে মুখ লোকান দীপঙ্কর।
ভিডিয়োর ক্যাপশনে অহনা লিখলেন, ‘ওর মিষ্টি মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরেছি’। অহনা আর দীপঙ্করের মধ্যেকার এই খুনসুটি মন কাড়ল সকলের।
তবে এই প্রেমের কারণেই নিজের মায়ের বিরাগভাজন হতে হয়েছে অহনাকে। ভালোবাসার মানুষটার সঙ্গে থাকতে, সঙ্গ ছাড়তে হয়েছে নিজের মায়েরই। অনুরাগের ছোঁয়াতে কাজ করতে গিয়েই, একে-অপরকে ভালোবাসেন অহনা-দীপঙ্কর। তবে অভিনেত্রীর মা চাননি তাঁর মাত্র ২০ বছরের মেয়ে কোনও ‘ডিভোর্সি’র সঙ্গে সম্পর্কে জড়াক। এর আগে একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন দীপঙ্কর, তবে তা টেকেনি। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে দীপঙ্কর সম্পর্কে রয়েছেন অহনার সঙ্গে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয় অহনা। খুব ছোট বয়সেই অবশ্য খ্যাতি এসেছিল ডান্স বাংলা ডান্স রিয়েলিটি শো-তে অংশ নিয়ে। সেই সময় মেয়ের পাশেপাশেই থাকতেন মা চাঁদনী। ডিভোর্সের পর একা হাতেই মেয়েকে বড় করেছিলেন।
মেয়ের জন্মদিনে চাঁদনী ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘২০০৩-এ এই দিনটাই বেঁচে থাকার একটা মানে খুঁজে পেয়েছিলাম। সেটাও দীপঙ্কর রায় আমার থেকে কেড়ে নিল। আজ আমার চেয়ে খারাপ কেউ না। তাও বলবো বেঁচে থাকার অধিকারটাও যে কেড়ে নিল তার ভালো হোক, শুভ জন্মদিন।’ তবে এই পোস্ট সামনে আসার পর নিজের মায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছিলেন অহনা। তাঁর সাফ কথা ছিল, ‘আমার প্রেমটা মা মেনে নিতে পারেননি বলে এ কথা বলছেন। আমি ভাল আছি। সুরক্ষিত আছি। কোনও সমস্যা নেই। আমাকে কেউ কিডন্যাপ করেনি।’