টলিপাড়ায় সদা হাসিখুশি প্রাণোচ্ছ্বল মেয়ে বলেই সকলে জানত ঐন্দ্রিলা শর্মাকে। দু'বার তাঁর ক্যানসার জয় করে ফিরে আসার লড়াই শুনলে যে কারও গায়ে কাঁটা দেবে। কিন্তু শেষ লড়াইয়ে আর ঘরে ফেরা হল না বছর চব্বিশের অভিনেত্রীর। ঐন্দ্রিলার অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ সকলে।
দ্বিতীয়বার ক্যানসারকে হারিয়ে প্রথম দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসে নিজের কথা ভাগ করে নিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এখানে এসে জানিয়েছিলেন, সুস্থ হয়ে ওঠার পর এই মঞ্চ থেকে তাঁর টেলিভিশন স্ক্রিনে ফেরা। ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: এ দিন দিদিকে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়েনি, নিশ্চুপ ঐন্দ্রিলার দুই ভালোবাসা তোজো-বোজো
ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে স্মৃতিচারণায় এক সংবাদমাধ্যমকে রচনা বলেছেন, 'আগের দু'বার ও লড়াইটা জয় করতে পেরেছিল। কিন্তু এই বারটা আর পারল না মেয়েটা। ওর আত্মার শান্তি কামনা করি। যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক।' দিদি নম্বর ১ সঞ্চালিকার কথায়, ভীষণ হাসিখুশি প্রাণবন্ত মেয়ে ঐন্দ্রিলা। এক মুহূর্তের জন্য কাউকে বুঝতে দেয়নি, ওর এত বড় একটা রোগ ছিল। খানিক আক্ষেপের সুরেই বলেছেন, আরও একটু সময় ওর সঙ্গে কাটাতে পারলে ভালো হত।
ব্রেন স্ট্রোক এবং একাধিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৫৯ নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এ দিন হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলার দেহ প্রথমে কুঁদঘাটের আবাসনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অভিনেত্রীর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। আবাসনে থেকে ঐন্দ্রিলার দেহ নিয়ে যাওয়া হয় টালিগঞ্জের স্টুডিয়ো পাড়ায়। রাত পৌনে আটটা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় দক্ষিণ কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।