ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু-সপ্তাহ। অভিনেত্রীর মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তাঁর প্রিয়জনরা। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মার মা। গত শনিবার মেয়ের উদ্দেশে আয়োজিত এক স্মরণসভায় যোগ দিয়ে শিখা দেবী দাবি করেন, 'এক-দু’জন চিকিৎসকের ইগোর জন্য ঐন্দ্রিলাকে চলে যেতে হল।’ হ্যাঁ, ২৪ বছর বয়সী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর জন্য তাঁর মা আঙুল তুলেছেন হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসকের দিকে।
হাওড়ার যে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঐন্দ্রিলা, সেখানের ইউনিট ইনচার্জ ছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। শিখা দেবীর অভিযোগ, ‘মেয়েকে দায়িত্ব নিয়ে ডিপ কোমায় ঠেলে দিয়েছেন’ ওই চিকিৎসক। অপর এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘উনি ঐন্দ্রিলাকে খুন করেছেন, আরও অনেক ঐন্দ্রিলাকে মারবেন’। ইগো-র সমস্যার জেরে অন্য ডাক্তারদের সাজেশন মেনে চলতেন না ওই মহিলা চিকিৎসক অভিযোগ প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের। যদিও হাসপাতালের অন্য চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ, এবং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
শিখা শর্মার এই বিস্ফোরক বক্তব্য নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। এই নিয়ে কী বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? এই ব্যাপারে এক সংবাদমাধ্যমে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়েছে, ‘আমাদের কাছে ঐন্দ্রিলার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। আমরা এই বিষয়টি শোনার পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর আমাদের যা যা করণীয় তা করা হবে’।
পাশাপাশি হাসপাতালের তরফে আরও জানানো হয়, বিষয়টি ‘দুর্ভাগ্যজনক’। আগে থেকে ঐন্দ্রিলার পরিবার এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারত। আরও সংযোজন, ‘তাঁরা যে বলেছেন বাইরের থেকে উপদেশ নেওয়া হয়েছে এগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের মনে হয় কোথাও একটা ‘মিস কমিউনিকেশন’ হচ্ছে।'
এক ইউটিউব চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিখা দেবী জানান, ‘ওই মহিলা চিকিৎসক প্রথম থেকেই নেগেটিভ আচরণ করেছিলেন। এমনকী, আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, এমন মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।’
ঐন্দ্রিলার মায়ের তরফে ওই চিকিৎসকের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলবার পর হাসপাতালের তরফে গোটা বিষয় নিয়ে শিখা দেবী এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক