১৯৯৯ সালে হাম দিল দে চুকে সনম-এর সেটে শুরু হয়েছিল ঐশ্বর্য রাই ও সলমন খানের মিষ্টি এক প্রেম কাহিনি। তবে ২০০২ আসতে না আসতেই তা এক তিক্ত মোড় নেয়। সলমন যদিও তখন ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন, সব জুটিদের মধ্যেই তো ঝামেলা হয়। তবে ঐশ্বর্য সাফ জানিয়ে দেন, সলমন তাঁকে ‘শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করেছেন। দিয়েছেন অকথ্য গালাগালি’।
২০১২ সালে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে তাঁর সেলিব্রিটি চ্যাট শো-তে ঐশ্বর্যকে সলমনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বিশেষ করে একটি ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যেখানে সিনেমার সেটে কিছু ঝেমালর কারণে শাহরুখ খানের চলতে চলতে থেকে বাদ পড়েছিলেন রাই-সুন্দরী। এসেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: না বলে হাত ধরায় বিচ্ছেদ! জানা গেল ভরতের ফোন ধরা কেন বন্ধ করেন হেমা-কন্যা এষা
ঐশ্বর্যকে যখন ‘সলমন পর্বটি নিরপেক্ষভাবে ফিরে তাকাতে’ বলা হয়েছিল, তখন অভিনেত্রী তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিলেন। জবাব এসেছিল, ‘আমার মনে হয় আমি সেই পর্ব অনেকআগেই বন্ধ করে দিয়েছি। আমি মনে করি আমি এটিকে যেভাবেই হোক না কেন, বিশেষত একটি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে দেখতে চাই না। আমি সত্যিই চাই না।’
আরও পড়ুন: ঠোঁট সার্জারি নিয়ে বিতর্কের পর হঠাৎ প্রকাশ্যে আয়েশা টাকিয়া, কতটা বদলেছেন তিনি!
সিমি তখন ফের প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কি এটা নিয়ে নেতিবাচক বোধ করছ?’ জবাবে ঐশ্বর্য বলেন, ‘এটি অতীতের একটি বিষয়, ওটা ওখানেই রেখে দিতে হবে।’ সলমন খানের সঙ্গে সাবেক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গেলে ঐশ্বর্য বলেন, কিছু পরিস্থিতি ও জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলা এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডালহৌসি-নিউটাউনের পর নন্দিনীর তৃতীয় দোকান উত্তর কলকাতাতেই, এবার কোথায় যেতে হবে
অভিনেত্রী জুড়েছিলেন, ‘আমার সঙ্গে আসে আমার পরিবার, আমার প্রিয়জন, যাদের আমি খুব ভালোবাসি এবং তাদের খুব যত্ন করি। সুতরাং একটি সুস্পষ্ট প্রাচীর আছে। হ্যাঁ আছে, আর তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।’
ঐশ্বরিয়া রাই ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন। তাদের আরাধ্যা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আর বর্তমানে বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে প্রেম করার পর রোমানিয়ান অভিনেত্রী লুলিয়া ভান্তুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন সালমান।