১ কোটি টাকার চেক বাউন্সের মামলায় শনিবার বলিউড পরিচালক রাজ কুমার সন্তোষীর ২ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় গুজরাতের জামনগরের এক আদালত। তবে কয়েকঘন্টার মধ্যেই সাময়িক স্বস্তি পেলেন ‘দামিনী’ পরিচালক। তিনবার জাতীয় পুরস্কার এবং ছ-বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালকের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
একইসঙ্গে রাজকুমার হিরানিকে ৩০ দিনের সময় দিয়েছে আদালত, রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন তিনি। পাশাপাশি উচ্চ আদালতে এই রায়কে চ্যালেঞ্জের পথও খোলা রয়েছে। ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ পরিচালকের কৌঁসুলি বিনেশ পটেল জানান, আদালত রাজকুমারের জামিন মঞ্জুর করে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার জন্য ৩০ দিন সময় দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যাবে, সে কথাও জানান তিনি। আইনজীবীর সাফাই, রাজকুমার সন্তোষীর চেক বদল করে অভিযোগকারীকে দেওয়া হয়েছে।
শিল্পপতি অশোক লালের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সন্তোষীকে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতকে অশোক লাল জানান, সন্তোষীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০টি চেক পেয়েছিলেন তিনি, যার মোট অর্থমূল্য ১ কোটি টাকা। কিন্তু ১০টি চেকই বাউন্স করে। শনিবার আদালত সন্তোষীকে অশোক লালকে দ্বিগুণ অর্থ অর্থাৎ ২ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
শনিবার শিল্পপতির কৌঁসুলি পীয়ূষ ভোজানি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী জানান, রাজকুমার সন্তোষীর ছবিতে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছিলেন তাঁর মক্কেল। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নামে ভুয়ো চেক দেন পরিচালক। রাজকুমার সন্তোষীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্য়র্থ হন অশোক লাল। এরপরই উপায় না পেয়ে আইনের দ্বারস্থ হন শিল্পপতি।
কিছুদিন আগেই ‘লাহোর ১৯৪৭’ নিয়ে বড় আপটেড দিয়েছিলেন সন্তোষী। জানিয়েছিলেন এই ছবিতে সানির সঙ্গে ফের একবার স্ক্রিন শেয়ার করবেন প্রীতি জিন্টা। প্রসঙ্গত, সন্তোষীর কালজয়ী ছবি ‘আন্দাজ আপনা আপনা’র নায়ক ছিলেন আমির, তিনি ‘লাহোর ১৯৪৭’ প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন। 'ঘায়েল,' 'দামিনী,' এবং 'ঘটক'-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন সানি দেওল ও রাজ কুমার সন্তোষী। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি থেকেই শ্যুটিং শুরু হয়েছে আমির খানের প্রযোজনায় তৈরি এই ছবির। রাজকুমার সন্তোষী আইনি ঝামেলায় জড়ানোয় প্রশ্ন উঠছে ছবির ভবিষ্যত ঘিরে।