বারাণসীর হোটেলে ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবের মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার করা হল প্রেমিক সমর সিংকে। পুলিশ সূত্রে খবর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সমর সিংকে। আকাঙ্খার মৃত্যুতে সমর সিং ও তাঁর ভাই সঞ্জয় সিংয়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রীর মা। আকঙ্খার মৃত্যুর পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সমর সিং। শুক্রবার সকালেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এদিকে এই মামলায় আরও এক অভিযুক্ত সমর সিং-এর ভাই সঞ্জয় সিং-এর খোঁজ এখনও মেলেনি। পুলিশ ইতিমধ্যেই লুক আউট নোটিশ জারি করেছে। জানা যাচ্ছে সমরও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন। বিষয়টি জানতে পারার পরই সমর যাতে পালাতে না পারেন সেবিষয়ে সমস্ত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছিল পুলিশ।
এদিকে আকাঙ্খা দুবের কাকা ও কাকিমার অভিযোগ ছিল, বহুদিন ধরেই আকাঙ্খাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিলেন সমর সিং ও তাঁর ভাই সঞ্জয় সিং। আকাঙ্খার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ধার হিসাবে নিয়েছিলেন প্রেমিক সমর সিং। অভিনেত্রী সেই টাকা ফেরত চাওয়ার পর থেকেই তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। প্রসঙ্গত, হগত ২৬ মার্চ বারাণসীর হোটেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর ২৫-এর আকাঙ্খা দুবের দেহ।
সম্প্রতি পুলিশের হাতে এসেছে আকাঙ্খার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আকাঙ্খার পেটে মিলেছে বাদামী রঙের অজানা তরলের উপস্থিতি, এছাড়াও তাঁর কব্জিতে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। যদিও আকাঙ্খার পেটে আর অন্যকোনও খাবার, পানীয় কিংবা অ্যালকোহল পাওয়া যায়নি। তাঁর'পেটের মিউকাস মেমব্রেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগের সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশের হাতে এসেছেন। যেখানে সন্দীপ সিং নামে এক ব্যক্তিকে অভিনেত্রীর সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখা যায়। তাঁর হাতে থাকা ব্যগ থেকেই হোটেলের রুমের চাবি খুঁজছিলেন আকাঙ্খা। তিনি প্রায় ১৫-২০ মিনিট আকাঙ্খার ঘরে ছিলেন, তারপর বের হয়ে যান। এতক্ষণ সন্দীপ সিং সেখানে কী করছিলেন? তাঁর পরিচয়-ই বা কী? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লিফটের বদলে অভিনেত্রী কেন সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে মৃত্যু ঠিক আগে ইনস্টা লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল আকাঙ্খা দুবেকে। ঠিক কী ঘটেছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।