স্বাধীনতা দিবসের দিন ভারতের পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার খবর শেয়ার করে নিয়েছিলেন অক্ষয় কুমার। তার আগে দীর্ঘদিন ধরে কানাডা পাসপোর্ট থাকার কারণে ট্রোল করা হত ‘কানাডা কুমার’ বলে। সম্প্রতি এই নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল খিলাড়িকে। কেন কানাডার পাসপোর্ট নিয়েছিলেন তিনি জানালেন সেটাও।
এএনআই-কে অক্ষয় জানালেন, ‘আমি কানাডার সিটিজেনশিপ নিয়েছিলাম কারণ একসময় আমার সিনেমা চলছিল না। টানা ১৪-১৫টা ফ্লপ দেই। তখন আমার এক বন্ধু যে কানাডায় থাকত আমাকে বলে তুই এখানে আয়। আমরা কিছু ব্যবস্থা করব। আমিও ভেবে দেখলাম একটা মানুষকে তো কাজ করতেই হবে, তা সে যেখানে থেকে করুক। এরপর টরেন্টোতে গিয়ে থাকা শুরু করি, আর তখনই কানাডিয়ান পাসপোর্ট পাই।’
অক্ষয় আরও যোগ করলেন, ‘সেই সময় আবার আমার দুটো সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় ঝুলে ছিল। আর সেই দুটো রিলিজ হওয়ার পর হল সুপারহিট। তারপর আমি সেই বন্ধুকে জানাই, আমি ফিরে যাচ্ছি। এরপর একটার পর একটা কাজ করে গিয়েছি। কখনও ভাবিনি, মানুষ এটাকে ধরে রাখবে। কারণ এটা তো বাইরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র একটা নথি। আমি দেশকে কর দিতাম, সর্বোচ্চ কর দিয়েছি আমি।’
অক্ষয় জানান ৯-১০ বছর তিনি কানাডা যাননি। যদিও সেখানে তাঁর খুব প্রিয় এক বন্ধু থাকে এবং খুব সুন্দর একটা জায়গা। কাকতালীয় ভাবে চলতি বছরের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনই তিনি দেশের নাগরিকত্ব পান ফের একবার। অভিনেতা বলেন, ‘দেশভক্তি তোমার মাথায়, তোমার মনে। পাসপোর্টে কী লেখা আছে তা দিয়ে কী হয়। তোমার আত্মাকে ভারতীয় হতে হবে। হতেই তো পারে কেউ খাতায়-কলমে ভারতের নাগরিক কিন্তু সে মন থেকে ভারতীয় নয়।’
১৫ অগস্ট অক্ষয় কুমার অক্ষয় তাঁর সরকারি নথির একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘হৃদয় এবং নাগরিকত্ব, উভয়ই ভারতীয়। শুভ স্বাধীনতা দিবস! জয় হিন্দ।’ ২০১৯ সালে প্রথম অক্ষয়ের কানাডার সিটিজেনশিপের কথা ফাঁস হয়। তারপর থেকে তাঁর নাম ‘কানাডা কুমার’ করে দেয় ট্রোলাররা। যদিও হিন্দুস্তান টাইমসকে সেই বছরই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে দিয়েছেন।
কাজের সূত্রে, অক্ষয়ের শেষ হলমুক্তি ‘মিশন রানিগঞ্জ’ ব্যর্থ বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে। ৬ দিনে আয় মাত্র ১৬.৯০ কোটি।