আলিয়া ভাটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগ কাশ্যপ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আলিয়াকে 'সেরা অভিনেত্রী'র তকমা দিয়েছেন অনুরাগ। জানিয়েছেন, আলিয়াকে নিয়ে তিনি কাজ করতেও ইচ্ছুক, তবে বাজেটে পোষাচ্ছে না। একইভাবে ভিকি কৌশল, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে নিয়েও মুখ খুলেছেন অনুরাগ কাশ্যপ।
সাক্ষাৎকারে অনুরাগ বলেন, ‘আমি মনে করি আলিয়া দেশের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। আমি ওঁর কাজ দেখার পরে সবসময় ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে কোনও কাজ পছন্দ না হলে তখন চুপ থাকি। আমি ওঁর সঙ্গে কাজ করতেও চাই, তবে আমি যে বাজেটের ছবি বানাই, তাতে আলিয়াকে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি অভিনেতাদের পিছনে একবারের বেশি ছুটতে পারি না, অপরপক্ষকেও আমার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী হতে হবে। তবে কেউ চিত্রনাট্যে পরিবর্তন চাইলে সেটা করে দিই। তবে বড় তারকারা অনেকসময়ই এতে দ্বিধাবোধ করেন। আসলে মন সায় না দিলে ঠিকভাবে তাঁদের পর্দায় তুলে ধরা যায় না। তাই আমি সেখান থেকে গুটিয়ে নিই।’
একইভাবে আরও ভিকি কৌশল, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে নিয়েও কথা বলেছেন অনুরাগ। একসময় নওয়াজের কেরিয়ার তৈরি করে দিয়েছিলেন অনুরাগ, এবার তিনিই বলছেন, নওয়াজের বাজারমূল্য এতটাই বেশি, যে তাঁকে কাজের কথা বলতেও নাকি তিনি দ্বিধা বোধ করেন। অনুরাগ কাশ্যপের কথায়, ‘আমি জানি, আমি কাজের প্রস্তাব দিলে ভিকি, নওয়াজরা আমায় কখনওই না বলবেন না। রমন রাঘব ২.০ ছবিতে যখন কাজ করি, নওয়াজ আমায় বলেছিলেন, টাকার কথা ভাবতে হবে না। আরপ্যায়ার উইথ ডিজে মহম্মদ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ভিকি একটা পয়সাও নেননি। এখন এঁরা দুজনেই বড় জায়গায় চলে গিয়েছেন।’
অনুরাগ বলেন, ‘আমি খুব নামী অভিনেতাদের নিয়ে ছবি করতে ভয় পাই না, তবে আমার তাঁদের নেওয়ার সামর্থ্য নেই। আমার ছবির বাজেট এতটাই কম যে আমার হারানোর কিছু নেই। আজ যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কি ভিকির সঙ্গে একই খরচে রমন রাঘব বানাতে পারি? আমি বলব, পারব না। কারণ ওঁর বাজারমূল্য অনেক বেশি।’ অনুরাগ বলেন, রমন রাঘব ২.০-তে কাজ করার জন্য নওয়াজের কাছে প্রস্তাব রাখতেও তিনি দ্বিঘা বোধ করেছিলেন। তবে নওয়াজই তাঁকে বলেন, টাকার কথা ভাবতে হবে না। অনুরাগ অবশ্য বলেন, যাঁদের তিনি কাছের মানুষ মনে করেন, তাঁদের কাছে কাজের প্রস্তাব নিয়ে যেতে তিনি দ্বিধাবোধ করেন না।
অনুরাগ জানান, হিন্দি ছবি বক্স অফিস এবং তারকাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যদিও দক্ষিণে আবার সেটা নয়, সেখানে সকলে সমান গুরুত্ব পান। মালায়লমে তো প্রচারের উপর গুরুত্বই দেওয়া হয় না, সরাসরি ছবি মুক্তি পেয়ে যায়। তামিল ছবির ক্ষেত্রেও বড়, ছোট সব ছবিই সমান গুরুত্ব পায়। আর এখানে কিন্তু তা নয়, বড় ছবির সামনে ছোট ছবি অদৃশ্য হয়ে যায়, হলও পায় না।