মহাষষ্ঠীর সকালে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী। কী ঘটেছে? ছোটপর্দার ‘লক্ষ্মী কাকিমা’র পাড়ার ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে বিপত্তি। ঘন্টা চারেকেরও বেশি সময় ধরে গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। তাই সকালেই নেমে আসে দুর্যোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় জলহীন হয়ে পড়েন অপরাজিতা, সকালেই নাজেহাল পরিস্থিতি তাঁর। তবে এই ভোগান্তি আজকের নয়, মাঝে মধ্য়েই এই ঘটনা ঘটছে এবং CESC-র কাছে বারংবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না, দাবি অভিনেত্রীর। আরও পড়ুন-Video: ‘খুব কষ্ট পেয়েছিলাম…ইংরাজি না জানা মানে অশিক্ষিত নয় ’, শাশুড়িকে নিয়ে সরব অপরাজিতা
এদিন ফেসবুক লাইভে আসেন অপরাজিতা। বেহালার বাসিন্দা অভিনেত্রী। তিনি বলেন, তাঁর বাড়ির ঠিক উল্টোদিকে একটি পঞ্চাননবাবার মন্দির রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন তিনি প্রণাম করে তবেই বাড়ির বাইরে বের হন। সেই মন্দিরের পাশেই দুটি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সেই ট্রান্সফরমারে আগুন লাগছে, শর্ট সার্কিট হচ্ছে এবং গোটা এলাকা ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ছে। অথচ জোরাতাপ্পি মেরে চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎকর্মীরা।
ক্ষোভের সুরে অপরাজিতা বলেন,‘CESE-র হাতে পায়ে ধরার পর তারা আসেন। কোনওরকমে ঠিক হয়। আবারও যে কে সেই। আজকে সকাল ৬.৩০টা নাগাদ সেখানে আগুন লাগে। কোনও একটা ট্রান্সফরমার থেকে আগুনটা লেগেছে। লাইটপোস্ট তো পুড়ে গিয়েইছে। একইসঙ্গে প্যান্ডেলও পুড়ে গিয়েছে। এবং লাইটপোস্টগুলোয় এত তার জড়ো হয়ে থাকে, যা থেকে শর্টসার্কিট হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর। এটা নিয়ে কারুর কোনও সচেতনতা নেই।’
এদিন এক সংস্থার হয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়ে ছিলেন অপরাজিতা, কিন্তু এই বিভ্রাটের জেরে দেরি হয়ে যায় তাঁর। বাড়িতে স্নান পর্যন্ত করতে পারেননি অভিনেত্রী। করা হয়নি পুজো। অভিনেত্রী বলেন, সবমিলিয়ে গোটা বিষয়টা খুব খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্যান্ডেল অন্ধকার, 'এলাকা অন্ধকার, জল নেই। তিন চারদিন আগে ঠাকুর রং হওয়ার সময়েও একই কাণ্ড। মোমবাতির আলোয় ঠাকুর রং করতে হয়েছে। কারণ, এই একই ঘটনা বারবার করে ঘটতে থাকে।’
এলাকাবাসীকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানাতে উৎসাহ দেন অপরাজিতা, জানান সবক্ষেত্রেই তিনি পাশে থাকবেন, পাশাপাশি মিডিয়া কর্মীদের কাছেও অনুরোধ জানান বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনার জন্য। বর্তমানে জল থই থই ভালোবাসাতে দেখা যাচ্ছে অপরাজিতাকে। কোজাগরী বসু হয়ে ছোটপর্দায় কামব্যাক করেছেন অপরাজিতা আঢ্য।