ইন্ডিয়ান আইডলের ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে অরুণিতা কাঞ্জিলালের, এতে কিছুটা হলেও মন খারাপ বাংলার। অনেকের মতেই এই মিউজিক রিয়ালিটি শো জেতার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার ছিলেন বনগাঁর এই মেয়ে। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অরুণিতা। মুম্বইতে লম্বা এক সফর শেষ করে শনিবার চুপিচুপি ঘরে ফিরেছেন অরুণিতা।
রবিবার রাখি পূর্ণিমা, আর এই বিশেষ দিনটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই এতদূর ছুটে আসা। অরুণিতার আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাসে ভাসছে গোটা বনগাঁ। ঘুমানোর ফুরসতটুকু নেই, তবে ক্লান্তির ছাপ নেই অরুণিতার চোখেমুখে। বরং, এক অদ্ভূত প্রশান্তি ঘরে ফেরার। গায়িকা এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ‘ঘুমোনোর সময় অনেক পাবো, ১০ মাস পরিবারের থেকে দূরে ছিলাম, এখন সব সময়টুকু ওদের সঙ্গে কাটাতে চাই। আজকের দিনটা দাদাদের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে চাই। বাড়ির মতো অনুভূতি অন্য কিছু হতে পারে না। কাল থেকে সব লোকজন আসছেন, আর্শীবাদ করছেন। খুব ভালো লাগছে’। ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগিতা চলাকালীন একদিনের জন্য ঘরে ফিরেছিলেন অরুণিতা, শো-এর অংশ হিসাবেই। তবে এবার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে।
এদিন দাদা, অণীশের হাতে রাখি বেঁধেছেন অরুণিতা, দাদাও বোনকে রাখি পরিয়েছেন। উপহার হিসাবে কী পেলেন? হাসি মুখে অরুণিতা বললেন, ‘দাদা আজ চকোলেট দিয়েছে, বলল বাকি গিফট আসছে সব। তবে এইসব উপহার একদম জরুরি নয় আমার কাছে। দাদা পাশে থাকাটাই জরুরি’। এদিন তুতো দাদারাও আসবেন অরুণিতার বাড়িতে। সেখানে জমিয়ে আড্ডা আর খাওয়া-দাওয়া চলবে। ইচ্ছা রয়েছে বিকালের দিকে বাইরে একটু ঘুরতে বেরানোর।
ইন্ডিয়ান আইডলের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বললেন, ‘এতো বড় বড় শিল্পীরা আমাদের শো-তে এসেছে, আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি তাঁদের সামনে আমি গান গাইতে পারব। এ আর রহমান স্যার যখন এসেছিলেন, তখন তো গোটা শো জুড়ে নিস্তব্ধতা ছিল। আশাজি তো আমার আইডল। ওঁনার মুখ থেকে আমার সম্পর্কে একটা শব্দ শোনাও আমার কাছে অনেক, উনি বলেছেন- তোমাকে কেউ রুখতে পারবে না। এটা শোনার চেয়ে বড় পাওনা আর কী বা হতে পারে?'
ইন্ডিয়ান আইডল তাঁর কেরিয়ারের শুরু, সামনে বিরাট জার্নি- একথা ভালোভাবেই জানেন অরুণিতা। বলিউডে প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসাবে নিজের জায়গা পাকা করতে চান বনগাঁর এই মেয়ে। এর জন্য আরও বেশি করে পরিশ্রম করতে উদ্যোগী, কথা দিলেন- ‘দর্শক আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে, যে বিশ্বাস রেখেছে আমার উপর তার মর্যাদা দিতে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেব’।