মাত্র ১০ বছর বয়সে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন আশা ভোঁসলে। কদিন বাদেই পা রাখবেব ৯০ বছরে। তাঁর গানের জাদুতে তিনি মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। তবে আশা সামনেই বড়সড় উপহার দিতে চলেছেন নিজের ভক্ত আর অনুরাগীদের। ৯ মার্চ জন্মদিন উপলক্ষে রেখেছেন লাইভ কনসার্ট।
৯০ বছরে পা রাখা আশার পক্ষে কি সম্ভব আর স্টেজে গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখা? প্রেস কনফারেন্স চলাকালীন তিনি জানালেন, এখনও একটানা ১৮টি গান গাওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।
নিজের ইচ্ছে ব্যক্ত করে, কিংবদন্তি গায়িকাকে বলতে শোনা গেল, ‘যদি আমি বেঁচে থাকি, আমি শোয়ের জন্য মহারাষ্ট্র জুড়ে ব্যাপকভাবে ভ্রমণ করতে চাই। আমার শোটির নাম 'ওহ ফির না আতি হ্যায়', ইঙ্গিত করে যে এটি হবে না। কারো পারফরমেন্সের সাক্ষী না থাকার জন্য, আপনার কখনোই মনে শোক রাখা উচিত নয়। কিশোর কুমার এবং অন্যান্য গায়কদের লাইভ পারফর্ম না দেখে থাকার কারণে লোকেরা প্রায়ই আফসোস করে। কিন্তু এখন, আপনি গর্ব করে বলতে পারেন আপনি আশা ভোঁসলের গান সরাসরি শোনার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন।’
আশা জানান, খানিকটা টাকার জন্যই তাঁর গানের দুনিয়াতে আশা। কিন্তু যে সংগীত তাঁকে খ্যাতি দিয়েছে, প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, পরিচিতি দিয়েছে, সেই গানের সঙ্গ তিনি কখনও ছাড়েননি। তাই আজও তাঁর কণ্ঠে সংগীত বিরাজমান।
গানের চর্চাকে তিনি ‘শরীরের যত্ন নেওয়ার’ সঙ্গে তুলনা করেছেন। উল্লেখ করেন, তিনি কারও জন্য নয়, নিজের জন্য গান। কারণ, এটাই তাঁর সুখ। বিগত ৮০ বছর ধরে, তাঁর গলা, তাঁর গাওয়া গান যে শ্রোতারা ‘সহ্য’ করে আসছে, তার জন্যও ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না।
তার প্রথম ফিল্ম ট্র্যাক ছিল ‘চালা চালা নব বালা’, যা ১৯৪৩ সালের একটি মারাঠি ছবির জন্য। 'পিয়া তু আব তো আজা' এবং 'ও হাসিনা জুলফো ওয়ালি'-এর মতো ডান্স নম্বর থেকে 'দিল চিজ কেয়া হ্যায়'-এর মতো হৃদয়গ্রাহী গজল, 'তোরা মন দর্পণ কেহলয়ে'-এর মতো শাস্ত্রীয় পরিবেশনা, তিনি উপহার দিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষায় প্রায় ১২ হাজার গানের ভাণ্ডার তাঁর রয়েছে।
পাঁচ মঙ্গেশকর ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় আশা ভোঁসলে। লতা মঙ্গেশকর বড় ছিলেন, যিনি ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। এখনও দিদির উদ্দেশে চোখের জল ফেলতে দেখা যায় আশাকে। সম্প্রতিই এক রিয়েলিটি শো-তে এসে জানিয়েছিলেন, ঠিক কতটা মিস করেন তিনি লতাকে!