গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। সৌজন্যে অভিনেতার দ্বিতীয় বিয়ে! গত ২৫শে মে জামাইষষ্ঠীর দিন কলকাতায় চুপিসাড়ে আইনি বিয়ে সারেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। পাত্রী রূপালি বড়ুয়া। অভিনেত্রী-গায়িকা রাজোশি (পিলু) বড়ুয়ার সঙ্গে ২২ বছরের দাম্পত্যে ইতি টেনে নতুন ইনিংস শুরু ৫৭ বছর বয়সে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই কুরুচিকর আক্রমণের শিকার আশিস ও তাঁর নতুন বউ। আশিস ও রূপালির অতীত নিয়ে খোঁচা দেওয়া থেকে শুরু করে নানান কটূক্তিতে ছেয়ে গিয়েছে অভিনেতার সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা।
৫৭-য় দ্বিতীয় বিয়ে,নিন্দুকদের জবাব
সোশ্যাল মিডিয়ার সে-সব কটাক্ষ এড়িয়ে যাননি আশিস। সবটাই পড়েছেন, জানালেন অভিনেতা। ইন্ডিয়া টুডে-কে আশিস বিদ্যার্থী জানান, ‘দেখলাম সেখানে আমাকে বুড়ো-খিটখিটে আরও না-জানি কত অবমাননাকর শব্দে বিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হল একটা জিনিস আমরা ভাবি না, যখন আমাদের চেয়ে বয়সে বড় কোনও ব্যক্তিকে আমরা বুড়ো-খিটখিটে এইসব বলি, তখন ভেবে দেখি না আমরা সবাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন সেই বয়সে পৌঁছাব। তাহলে লোকজন কী বলতে চাইছে, বুড়ো হয়ে গেলে আমার খুশি থাকার অধিকার নেই? তাহলে বয়স্কদের কি উচিত অখুশি হয়ে মরা? যদি কারুর সঙ্গীর প্রয়োজনবোধ হয়, তাহলে কেন সে নিজের ইচ্ছামতো সঙ্গী খুঁজে নিতে পারে না?'
অভিনেতা আরও জানান, নিজে রোজগার করে নিজের খরচ মেটান তিনি। তাই নিজের ইচ্ছায় জীবন কাটানোর অধিকার অন্যের থেকে নেওয়ার দরকার নেই। তিনি বলেন, ‘এমন সমালোচনা আমি আশা করিনি। সত্যিই বিস্মিত আমি।’
রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে নতুন ইনিংস
আশিসের দ্বিতীয় স্ত্রী, রূপালি বড়ুয়া অসমের মেয়ে। পেশায় ফ্যাশন উদ্যোক্তা। কলকাতাতে রূপালির একটি ফ্যাশন হাউস রয়েছে। মডেলিংও করেন এই সুন্দরী। তিলোত্তমাতেই আলাপ দুজনের। আশিসের মতো রূপালিরও দ্বিতীয় বিয়ে এটি, তাঁর প্রথম স্বামী বেশ কয়েক বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন। রূপালির প্রথম পক্ষের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পারস্পরিক সম্মতিতে ডিভোর্স আশিস-পিলুর
রূপালি-আশিসের বিয়ের খবর সামনে আসবার পর অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন কারণ রাজোশির সঙ্গে তাঁর ডিভোর্সের কথাটাই জানাজানি হয়নি। পরে প্রাক্তন স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে রাজোশি হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করার প্রয়োজনবোধ করেননি। ডিভোর্স প্রসঙ্গে রাজোশি জানান, ভবিষ্যত নিয়ে দুজনের ভাবনা বদলে যাওয়ায় আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কারণ আশিসের চাহিদার সঙ্গে এখন তাঁর চাহিদা খাপ খায় না। আশিস ও রাজোশির এক পুত্র সন্তান রয়েছে, অর্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলায় কর্মরত সে। এখন রূপালির সঙ্গেই সুখে সংসার করতে চান আশিস। রাজোশি জানিয়েছেন, তিনি দ্বিতীয় বিয়েতে আগ্রহী নন, বরং কেরিয়ারে মন দিতে চান শকুন্তলা বড়ুয়ার কন্যা।