সলমন খানের সবচেয়ে আদরের বোন তিনি। এমনকী, পানভেলের যে ফার্মহাউজ নিয়ে এত আলোচনা চলে, যেখানে অবসর পেলেও ছুটে যান ভাইজান, সেটাও আসলে সেলিম খান ও সালমা খানের দত্তক কন্যা অর্পিতা খানের নামেই রেজিস্ট্রি করা। এমনকী নাম অর্পিতা ফার্মস। তবে ঐশ্বর্য আর খ্যাতি দুই থাকলেও, অনলাইন ট্রোলের হাত থেকে বাঁচতে পারেন না তিনি। নেট-নাগরিকদের বড় একটা অংশ তাঁকে ট্রোল করে, তাঁর চেহারার জন্য। সম্প্রতি এই নিয়ে কথা বললেন, অর্পিতার অভিনেতা স্বামী আয়ুশ শর্মা।
সিদ্ধার্থ কান্নানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আয়ুশকে বলতে শোনা গেল, ‘অর্পিতা আমায় বলে, 'লোকেরা ছোটবেলা থেকেই আমার চেহারা নিয়ে সমালোচনা করে আসছে। আমি পরোয়া করি না। ওঁরা যা চায় তাই বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বয়সে ছোট রাষ্ট্রপতির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঊষার! শিল্পে খাস অবদান,পদ্মভূষণ পেলেন মিঠুন
এমনকী শ্যামলা গায়ের রঙের জন্য যেভাবে অর্পিতার সমালোচনা করা হয়, তা তাঁকে হতবাক করে বলেই জানান আয়ুষ। প্রশ্ন তুললেন, ‘ভারতের অধিকাংশ মানুষের গায়ের রংই তো তাই। তাহলে কীসের এত সমালোচনা।’ নিজের প্রসঙ্গ টেনে অন্তিম অভিনেতা বলেন, ‘আমি শিমলায় জন্মেছি। আমরা ওখানকার মানুষ। আমার গায়ের রং তাই ফর্সা। এটা নিয়েও সমালোচনা করা হয় আমার বা ওর। কিন্তু কারও গায়ের রং শ্যামলা হলে সমস্যাটা কোথায়? গায়ের রং কি কখনও কোনও মানুষকে বিচার করার চাবিকাঠি হতে পারে?’
আরও পড়ুন: ভাইয়ের জন্য প্রার্থনায় দিল্লির নিজামুদ্দিন দরগায় অর্পিতা, বাড়ি ছাড়ছেন সলমন!
অর্পিতা খান এবং আয়ুশ শর্মা গাঁটছড়া বেঁধেছেন ২০১৪ সালে। তাঁদের দুই সুন্দর সন্তান, ছেলে আহিল এবং মেয়ে আয়ত। আয়ুশ তার আসন্ন সিনেমা 'রুসলান'-এর প্রচারে ব্যস্ত। চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে রুসলান। এর আগে তাঁকে দেখা যায় সলমন খানের সঙ্গে অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ সিনেমায়। আর প্রথম কাজ ছিল লাভযাত্রী।
আরও পড়ুন: ভ্যাপসা গরমে আদুর গায়ে ছবি দিলেন রুবেল! দেখেই ফিদা ‘বউ’ শ্বেতা, কী লিখলেন নায়িকা
মুম্বইয়ের ফুটপাথের এক গৃহহীন মহিলার গর্ভেই জন্ম হয়েছিল অর্পিতার। অর্পিতা যখন শিশু, মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। মায়ের মরদেহর পাশে বসে কাঁদছিল ছোট্ট মেয়েটি। সেলিম-সালমা গাড়ি থেকে সেই দৃশ্য দেখে নেমে পড়েন সেলিম-সালমা। দত্তক নেন সেই মেয়েটিকে। তবে বাড়ির লোকের মতো অভিনয়ে আসতে চাননি তিনি, ফিল্মি পরিবেশে বড় হওয়ার পড়েও। বরং ছোট থেকেই মন ছিল পড়াশোনাতে। লন্ডন স্কুল অব ফ্যাশন থেকে উচ্চশিক্ষা। বর্তমানে মুম্বইয়ে একটি ইন্টেরিয়র ডিজাইন ফার্মে কাজ করেন।