অভিনয় দিয়েই দর্শকদের মনে ছাপ ফেলে গিয়েছেন অভিনেতা ইরফান খান। তাঁর খুব সাধারণ ব্যবহার বাস্তবে সকলের মন জয় করেছে। দ্য লাঞ্চবক্স, পান সিং তোমার এবং পিকুর মতো সিনেমায় অভিনয় করে ভারতের সেরা অভিনেতার মধ্যে তিনি নিজের জায়গা তৈরি করেছেন। ইরফান খানের আচমকা মৃত্যু শুভানুধ্যায়ী এবং ভক্তদের নাড়িয়ে দিয়েছিল।
ইরফানের মৃত্যুর পরই অভিনয়ে আসে তাঁর পুত্র বাবিল খান। বাবার পাদঙ্ক অনুসরণ করে বলিউডে আসে বাবিল। সেই সময় বলিউডের অনেকেই বাবিলের প্রতিভাবে চিনতে পেরে পাশে পাশে ছিলেন ইরফান-পুত্রর। সম্প্রতি মা সুতপা সিকদারকে নিয়ে এক অজানা কথা ফাঁস করেছেন বাবিল। জানিয়েছেন, বাবার কেরিয়ারের কদর করতে নিজের স্বপ্নকে একসময় জলাঞ্জলি দিয়েছেন তাঁর মা সুতপা।
GQ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাবিল জানিয়েছেন, নিজের বড় বড় স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও তাঁর মা সুতপা সেগুলিকে সরিয়ে বাবা ইরফান খানের স্বপ্নকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। একই সঙ্গে বাবিল আরও জানিয়েছেন, ইরফান সেভাবে সকলের সামনে তাঁর মাকে কোনও ক্রেডিটই দেননি যেভাবে সমস্ত সময় সুতপা তাঁর পাশে পাশে ছিলেন। এমনকি বাবিল এও জানিয়েছেন, ইরফান কখনই সেই জায়গা থাকতে পারত না যদি না তাঁর মা সব সময় সাপোর্ট করত।
ট্র্যাজিক টুইস্ট, ইরফানকে কখনও সকলের সামনে সুতপাকে প্রশংসা করতে দেখা যায়নি। বাবলি এও বলেছেন, নিজের সমস্ত স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিয়ে স্বামী এবং সন্তানের উন্নতিতে সঙ্গ দেওয়া সত্যিই খুব কঠিন এবং সাহসী পদক্ষেপ। কিন্তু তিনি নিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত। এমনকি বাবিল স্বীকার করেছেন, সুতপাকে ছাড়া ইরফান এত দূর এগোতে পারতেন না।
এরপরই বাবিল জানিয়েছেন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার সময় তাঁর সাফল্যে সুতপার গুরুত্ব সকলের সামনে স্বীকার করেছিলেন ইরফান। বাবিল বলেছিলেন, অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নিজের সাফল্যের প্রতি তার (সুতপা) অবদানের মাত্রা স্বীকার করেছিলেন।
মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে লড়াইটা চালিয়েছিলেন ইরফান খান। ভুগছিলেন মস্তিষ্কের এক বিশেষ ধরনের ক্যানসারে। ২০২০ সালে, ৫৩ বছর বয়সে লড়াই থামে অভিনেতার।