ধর্ষণের অভিযোগে জেরবার শাকিব খান। দুই প্রাক্তন স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢালিউডের ভাইজানের, তবুও বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না শাকিবের। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শ্যুটিং চলাকালীন নাকি হোটেল রুমে এক সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেছিলেন শাকিব, নায়কের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ওই ছবির প্রযোজক রহমত উল্লাহ।
প্রায় ৭ বছর পুরোনো মামলায় আপতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শাকিব। প্রযোজকের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ শাকিবের। হত্যার হুমকি অভিযোগে রহমতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করেছেন শাকিব। তাঁর দাবি, ‘রহমত আমার থেকে সিনেমার শ্যুটিং শেডিউল ফাঁসানো ও মহিলা প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলে সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার নেন’। শাকিবের সাফ কথা তিনি ‘হানি ট্র্যাপ’-এর শিকার। সংবাদমাধ্যমকে ‘ভাইজান’ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই চক্র যত বড়ই হোক না কেন, সুষ্ঠু বিচার পাব। আদালত যাচাই-বাছাই করে আমার মামলাটি গ্রহণ করেছেন। আইনের ওপর আমার বিশ্বাস আছে, শ্রদ্ধা আছে’।
শাকিব জানান, ওই ছবিতে তাঁর নায়িকা ছিল শিবা আলী খান। তবে ভিসা সমস্যায় সে সময়ে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছাতে পারেনি। তখন ওই সহ-প্রযোজককে নায়িকা করতে ওঠে-পড়ে লেগেছিলেন রহমত উল্লাহ কিন্তু শাকিব তা প্রত্যাখান করেন। একদিন শ্যুটিং শেষে শাকিবকে ‘রিফ্রেশমেন্টের জন্য’ একটি ক্লাবে নিয়ে যান রহতম উল্লাহ। হাজির ছিলেন সেই সহ-প্রযোজকও, যাঁকে ধর্ষণ করার অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশে শাকিবের নামে মামলা দায়ের হয়েছিল।
শাবিক বলেন, ক্লাবে অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি, তাঁর আশঙ্কা তাঁর পানীয়তে কিছু মেশানো হয়। এরপর সেই সহ-প্রযোজক নারী তাঁকে হোটেলরুমে নিয়ে আসে। সেইসময় দুজনের কিছু ‘আপত্তিকর মুহূর্ত’ ফ্রেমবন্দি করা হয়ে থাকতে পারে আশঙ্কা শাবিকের। লোকলজ্জার জেরে ‘তোলাবাজি’র সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার দিয়ে দেন শাকিব।
অন্য দিকে শাকিবের হাতে ‘ধর্ষিতা’ হয়েছেন যে নারী বলে অভিযোগ করা হচ্ছে তিনি প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমকে ‘নির্যাতিতা’ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রসঙ্গ টেনে আমার হয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সিনেমাটি সম্পূর্ণ করা হবে কি না, তা নিয়েও আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। আর আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যে সব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। এমনকি এই প্রসঙ্গ নিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা-ও আমি জানতাম না। ২০১৬ সালের অভিযোগটি এখনও তদন্তাধীন। কী করব, তা ভবিষ্যতে বিবেচনা করব। এখন আমি এ সব নিয়ে ভাবছি না।’
সব মিলিয়ে অভিযোগ-পালটা অভিযোগ জারি রয়েছে। বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই এখন দেখবার।