‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…’। সেই কবে থেকে বৈশাখকে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্যে দিয়েই নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করে আপামর বাঙালি। পয়লা বৈশাখে উৎসবে মেতে ওঠে এপার এবং ওপার বাংলার মানুষজন। এ-এক অদ্ভুত বৈশাখী আনন্দ। এবার পয়লা বৈশাখ উদযাপন, ছোটবেলার নববর্ষ নিয়ে নানান টুকিটাকি কথা ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’র সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া।
নুসরাত বলেন, ‘এবার পয়লা বৈশাখে আমি শ্যুটিংয়েই ব্যস্ত থাকব, কারণ আমার একটা গান ইদে মুক্তি পাচ্ছে। তাই তারই প্রচারে আপাতত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে আমাকে। আর পয়লা বৈশাখ এলে আমরা কমবেশি সব বাঙালিই ছোটবেলায় ফিরে যাই। ছোটবেলায় নববর্ষের প্রথম এই দিনটির সকালে বাড়িতে রেডিও চলত, তাতে শোনা যেত কবিগুরুর সেই গান 'এসো হে বৈশাখ…। এই দিনে বাসায় সবাই মিলে পান্তাভাত আর ইলিশ মাছ খেতাম, সে এক অদ্ভুত আনন্দ। ছোট থেকেই এই দিনটি এভাবেই উদযাপন করতে পছন্দ করতাম। আর বাংলাদেশে চিরকালই বড় করে নববর্ষ উদযাপন করা হয়। আমরা এই দিনে খাওয়া-দাওয়া, সাজাগোজা সবকিছুর উপরই বিশেষ নজর দি। বাংলাদেশের মানুষজন অনেকেই এই দিনে পরিবারের সঙ্গে মিলে বৈশাখী মেলায় যান। আমরাও অনেকসময় পরিবারের সঙ্গে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করি।’
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের মেলা, নতুন জামার স্মৃতিতে বোনা পয়লা বৈশাখই আমার কাছে সেরা উৎসব: বাঁধন
নুসরাত ফারিয়া আরও বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের ফ্যাশান বলতে আমরা লাল-সাদা শাড়িকেই বুঝি। আজকাল অবশ্য অনেকেই অনেক ধরনের শাড়ি পরছেন, তবে সবই হয় দেশি শাড়ি। এই দিনটির সঙ্গে নিয়ে অনেক অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে। ছোটবেলায় স্কুলের অনুষ্ঠান। আর বড় হয়ে এই দিনে টেলিভিশনের কাজে ব্যস্ত থাকতাম। তখন অনেক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনাও করতাম। এছাড়া এখন পয়লা বৈশাখে গান, সিনেমা মুক্তি পায়, সেটা নিয়েও একটা অন্যরকম উত্তেজনা থাকে। যদিও এবার রোজা চলছে বলে পয়লা বৈশাখের উদযাপনে কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে। তবে কমবেশি উদযাপন তো হবেই।’
প্রসঙ্গত নুসরাত এপার এবং ওপার দুই বাংলাতেই এখন চুটিয়ে কাজ করছেন। খুব শীঘ্রই বিবাহ অভিযান ২-তে দেখা যাবে তাঁকে। এছাড়াও রাজ চক্রবর্তীর আবার প্রলয় ছবিতে একটি আইটেম নম্বরে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।