তৃতীয় দফার ভোটের দিন ইন্ডিয়া ব্লকের শরিক দলগুলির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নিজের সেই চিঠির বিষয়বস্তু তুলে ধরেন খাড়গে। নির্বাচনের প্রথম দুই দফায় চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশে দেরি এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া অসম্পূর্ণ তথ্যের বিষয়েই এই চিঠি দিয়েছেন খাড়গে। চিঠিতে পরিসংখ্যান প্রকাশে এই বিলম্ব এবং চলতি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু প্রকৃতির বিষয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি। এই আবহে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য ইন্ডিয়া ব্লককে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানান খাড়গে। (আরও পড়ুন: আজকের ৯৩ আসনে ২০১৯ সালে ৫১.৮% ভোট পেয়েছিল NDA! কতটা পিছিয়ে INDIA?)
আরও পড়ুন: বাংলার ৪ আসনে ভোট আজ, ২০১৯-এ কে কোথায় জিতেছিল, ২০২১-এর নিরিখে এগিয়ে আছে কে?
আরও পড়ুন: Lok Sabha Vote LIVE: ভোটের কাজ করতে করতেই মৃত্যু প্রিসাইডিং অফিসারের
চিঠিতে খাড়গে লেখেন, '৫২ বছর ধরে আমি ভোট দিচ্ছি। তবে কখনও এই ধরনের ভোটের হারে হেরফের দেখিনি।' কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, প্রথম দফার ভোটের ১১ দিন পর এবং দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের ৪ দিন পর ভটের হার প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কেন এত দেরি করে এই ভোটের হার প্রকাশ করেছে? এর আগে তো নির্বাচন কমিশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোটের হার প্রকাশ করত। তাহলে কি ইভিএম নিয়ে কোনও সমস্যা রয়েছে? এদিকে কোন আসনে কত ভোট পড়েছে, তা জানানো হয়নি। তাহলে অন্তত এটা বোঝা যেত যে সব আসনেই সমান হারে ভোটের হার বেড়েছে নাকি ২০১৯ সালে বিজেপি যে আসনগুলিতে পিছিয়ে ছিল, সেই আসনগুলিতেই ভোটের হার বেড়েছে। কিছু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী দফার ভোটের ভোটার তালিকা এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। খাড়গের প্রশ্ন, এই হেরফেরের মাধ্যমে কি চূড়ান্ত ফল পরিবর্তন করার ষড়যন্ত্র চলছে? (আরও পড়ুন: তৃতীয় দফার ভোটে বাংলায় কোটিপতি প্রার্থী ১৩ জন, ধনীতম নেতার সম্পত্তি কত জানেন?)
আরও পড়ুন: 'ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে চাইছে বিদেশি শক্তি', ভোট দিয়ে বিস্ফোরক মোদী
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে আজ, ৬০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ
উল্লেখ্য, ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছিল বলে ভোটের দিন সন্ধ্যায় জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোটের দিন কমিশন জানায়, ৬০.৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে সরকারি ভাবে এই দুই দফার চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশিত হল ৩০ এপ্রিল। ভোটের হারের চূড়ান্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেল, প্রথম দফায় ৬৬.১৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। মানে ভোটের দিন যে ভোটের হার বলা হয়েছিল, তার থেকে ৬ শতাংশ বেশি ভোট পড়েছে চূড়ান্ত ভাবে। দাবি করা হচ্ছে, ভোটের হার প্রকাশ করা হলেও যোগ্য ভোটারের সংখ্যা এবং কত ভোট পড়েছে, সেই সংক্রান্ত মৌলিক তথ্য কমিশন প্রকাশ করেনি কমিশন।