মঞ্চ তৈরি করে বক্তব্য রাখা থেকে শুরু করে মিটিং মিছিল অথবা ধর্ণা। আবার কুশপুতুল পোড়ানো কিংবা যুক্তি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্ক, সরকার কিংবা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এহেন ধরনের প্রতিবাদ দেখতে অভ্যস্ত মানুষ। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আস্ত গ্যাস সিলিন্ডারকেই যে হাতিয়ার বানিয়ে ফেলা হবে তা কস্মিনকালেও হয়ত ভাবেননি বিজেপি নেতারাও। 'NO Vote To BJP' অর্থাৎ বিজেপি-কে একটিও ভোট নয় এহেন বার্তা গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে লিখে অভিনব প্রতিবাদ জানালেন বাংলা ব্যান্ড 'ঈশান' এর গায়ক সায়ন মিত্র।
সেনের এই অভিনব প্রতিবাদের পোস্ট এইমুহূর্তে ব্যাপক ভাইরাল ফেসবুকে। নিজের বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে চকখড়ি দিয়ে গ্যাসের দাম, সেটি ডেলিভারি নেওয়ার তারিখ লেখার পাশাপাশি বিজেপি-কে ভোট না দেওয়ার বার্তা দেন এই গায়ক। এই ছবির সঙ্গে পোস্টে তিনি লেখেন, 'লেট নাইট পোস্ট, গতকাল বাসায় রান্নার গ্যাস শেষ হয়েছে বুকিং করার পর আজ সকালে ডেলিভারি দেয় খিতিশ। গ্যাস এর দাম ৮৬১ টাকা + তিন তলায় তুলতে ২০ টাকা = ৮৮১ টাকা, ভর্তুকি ৩০ টাকা । সিলিন্ডার এর গায়ে লিখে দিলাম নিজের মনের কথা । যদি আমার এই সিলিন্ডারটা রং না হয়ে অন্য কোনও আমার মত অসহায় ব্যাক্তির বাড়িতে যায় রিফিল হয়ে দুমাস পর দামের অঙ্কটা আরও বেড়ে যেতে পারে । হয়তো সেও কিছু লিখবে এই সিলিন্ডারের গায়ে ...'
সায়নের এই পোস্ট যেমন মনে ধরেছে বহু মানুষের তেমন এই প্রতিবাদ 'মেকি' এবং 'সাজানো' বলে তাঁর উদ্দেশে টপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা। গেরুয়া শিবিরের এক বড় অংশের দাবি সায়নের আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট ভালো হওয়া সত্ত্বেও তিনি এই প্রতিবাদ করেছেন যার কোনও যুক্তি নেই। সেই অভিযোগের পাল্টা জবাবে 'এই সময়'-কে 'ঈশান' এর গায়ক জানিয়েছেন প্রায় প্রতিদিনই সাধারণ জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এরকম করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে কী করবে সাধারণ মানুষ। এই লকডাউনের ফলে বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। কেউ বা অন্য উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে অর্ধেক বেতনেও কাজ করছেন। তাঁদের কাছে এই জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি তো চরম দুঃস্বপ্ন। সঙ্গে এও জানাতে ভোলেননি এক বছরের ওপর স্কুল কলেজ সব বন্ধ থাকার দরুণ তাঁর হাতেও কাজ নেই। সমস্ত জলসা কিংবা অনুষ্ঠান বন্ধ। ডিজিটাল মাধ্যমে বেশ কয়েকটি শো করলেও তার উপার্জন অনেকটাই কম।