১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'। ছবির মুখ্যভূমিকায় সলমন খান এবং ভাগ্যশ্রীর রসায়নে মজেছিল তামাম ভারতীয় দর্শককুল। অচিরেই তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন সেই সময়ের ভারতীয় টিনেজারদের প্রেমের 'আইকন'। এই ছবির পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সলমন খান-কে। অন্যদিকে, এই একটিমাত্র ছবিতে অভিনয় করেই বলিউডকে বিদায় জানিয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। তবে জানেন কি ছবিতে সলমনকে জড়িয়ে ধরতে হবে শুনে রীতিমতো কেঁদে ভাসিয়েছিলেন এই বলি-নায়িকা!
সম্প্রতি, ছোটপর্দার 'জি কমেডি শো'-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন 'ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'-র 'সুমন'। সেখানেই এত বছর পর এই ঘটনার কথা ফ্যানস করলেন তিনি। কিন্তু কেন এমন করেছিলেন এই অভিনেত্রী?কোনও গুরুতর ঘটনা ঘটেছিল কী? 'স্পটবয়'-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে ভাগ্যশ্রী জানিয়েছেন ওই ছবিতে অভিনয় করার সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮। সেই সময়ে বাস্তব জীবনে একজনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তিনি। তাঁকে বিয়ের কথাও ভেবে রেখেছিলেন তিনি। তাই শুটিং সেটে এসে যখন তিনি শোনেন যে পর্দায় সবার সামনে তাঁকে সলমনকে আঁটোসাঁটোভাবে জড়িয়ে ধরতে হবে, শুনে যারপরনাই চিন্তায় পড়ে গেছিলেন তিনি। নায়িকার দাবি, ' এছাড়া আরও একটি ব্যাপার ছিল। এর আগে আমি কখনও কোনও পুরুষকে জড়িয়ে ধরিনি। তাই লজ্জা, ভয় সেসবও ছিল। সবমিলিয়ে টেনশন বেড়ে যাওয়াতে কেঁদে ফেলেছিলাম'।
ভাগ্যশ্রীকে কাঁদতে দেখে বেশ চিন্তায় পড়ে গেছিলেন সলমন এবং ছবির পরিচালক সূরজ বজরাতিয়া। কোনওভাবেই বোঝাতে পারছিলেন না তাঁরা নায়িকাকে যে ছবির জন্য ওই সিকোয়েন্সটা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। অবশেষে সলমন আলাদা করে এসে ধরা গলায় অনুরোধ জানানোর পর শান্ত হয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। বুঝেছিলেন গোটা ব্যাপারটার গুরুত্ব। এরপর দেরি না করে ফ্লোরে হাজিরও হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ভাগ্যশ্রীর 'না' বলার জেরে ছবিতে একটি চুমুর দৃশ্যও বাধ্য হয়েই উড়িয়ে দেন পরিচালক। বদলে বহু চর্চিত একটি গ্লাসের দুদিকে চুমু খেতে দেখা গেছিল 'প্রেম' এবং 'সুমন'-কে।