স্টার জলসায় গত ডিসেম্বর মাসেই শুরু হয়েছে ‘কথা’। এই মেগার হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর ছোটপর্দায় ফিরেছেন সাহেব ভট্টাচার্য, সঙ্গী সুস্মিতা দে। ‘বউমা একঘর’, ‘পঞ্চমী’র পর এই মেগার সঙ্গে জলসায় হ্যাটট্রিক সেরে ফেললেন সুস্মিতা। দেড় মাস যেতে না যেতেই হিরো-হিরোইনের বিয়ে সুসম্পন্ন। দিন কয়েক আগেই সেই ধামাকেদার বিয়ে দেখেছে দর্শক। কিন্তু আচকমকাই চর্চায় সাহেব-সুস্মিতার পর্দার বিয়ে।
অগ্নিভর আর ‘গোবরডাঙার মিস গোবর দেবী’র বিয়ের নেপথ্যের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা অরিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে শ্যুট হয়, তা তুলে ধরাই ছিল অভিনেতার একমাত্র উদ্দেশ্য কিন্তু ঘটল বিপত্তি! ওই ভিডিয়োতে কথার সিঁদুরদানের মুহূর্ত কীভাবে শ্যুট হয়েছিল তা উঠে এসেছে। কিন্তু দর্শক যে সেই ভিডিয়ো দেখে এমন প্রতিক্রিয়া দেবেন তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি অভিনেতা।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে পুরোহিত মশাইয়ের ভূমিকায় যে প্রৌঢ় অভিনয় করছেন তাঁর উপর চিৎকার করছে পরিচালক। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল না বুঝে সিঁদুর রাঙানো কুনকে সাহেবের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। এতেই রেগে আগুন পরিচালক বলে ওঠেন, ‘আরে কোথায় তুলছেন, সোজা তুলুন…ব্যাঁকা তুলছেন।’ দ্বিতীয়বারে ধৈর্য হারিয়ে আরও জোরে চিৎকার ওঠেন পরিচালক। তা দেখেই চটেছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘বয়স্ক মানুষের সাথে কথাটা ভালো করে বলতে শিখুন। নির্লজ্জ’। অপর একজন লেখেন, ‘ওইভাবে একটা বয়স্ক মানুষকে না বলে নিজে তো এসে দেখিয়ে দিলেও তো পারে ..’। আরেক নেটিজেনের পাল্টা প্রশ্ন, 'এই ধরনের 'পেছন পাকামী' করা হয় নতুন শিল্পীদের সংগে৷ একটু ব্যাঁকা করে তুললে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?'
তবে সাহেবের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন সকলে। গোটা ভিডিয়োয় অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে বয়সে সিনিয়র ওই পুরোহিত মশাইকে শট বোঝানোর চেষ্টা করেছেন সাহেব, বলা যায় হাতে ধরে শেখানোর চেষ্টা চালিয়েছেন। সুশিক্ষা পেয়ে বড় হয়েছেন সাহেব ভট্টাচার্য, একমত সকলেই।
তবে পরিচালকমশাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে সাফাই দিয়েছেন অরিন্দ্য। তিনি লেখেন, ‘গলায় জোর না হলে একটা গোটা টিম কে সবসময়ে একটা সরলরেখায় বেঁধে রাখা সম্ভব হয়না। বিশেষ করে এই ধরনের বিয়ে বা পার্টি জাতীয় দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়। অভিনেতারা সকলেই অভ্যস্ত এই বিষয়ে।’ যদিও তাতে মন লগেনি নেটিজেনদের। সকলে একজোটে অরিন্দ্যকে পালটা আক্রমণ করেন। তাঁদের মতে, ‘জোরে কথা বলায় সমস্যা নেই, ওঁনার অভদ্র ব্যবহারটা সকলেই দেখতে পাচ্ছে’।