বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > রান্নার নাম নাকি ‘বাঁধাকপির গলায় দড়ি’! সুদীপ্তার রান্নার শো নিয়ে ফের চলল ট্রোল

রান্নার নাম নাকি ‘বাঁধাকপির গলায় দড়ি’! সুদীপ্তার রান্নার শো নিয়ে ফের চলল ট্রোল

বাঁধাকপির গলায় দড়ি রান্না করে ট্রোলড সুদীপ্তা। 

 কালার্স বাংলার তরফ থেকে তাঁদের অফিসিয়াল ইনস্টা আইডিতে এই রান্নার এক ঝলক শেয়ার করা হয়। এমন নাম যে কোনও রান্নার হতে পারে তা মনে হয় কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি!

শীত এলেই অনেকের বাড়ির মেনুতে রোজ থাকে ফুলকপি বা বাঁধাকপি। মা-জেঠিমারা কত রকমের পদই না বানিয়ে থাকেন এই দুই সবজি দিয়ে। আর যেহেতু সারা বছরে মাত্র ২-৩ মাসই ভালো মানের কপি মেলে তাই খায়ও সবাই মজা করে। কপির অনেক রকম পদের নাম তো শুনেছেন নিশ্চয়ই এর আগে! কিন্তু কখনও ভেবেছেন কোনও ডিশের নাম হতে পারে ‘বাঁধাকপির গলায় দড়ি’?

জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এর মতো কালার্স বাংলাতেও শুরু হয়েছে একটি রান্নার শো। যেখানে সঞ্চালিকা হিসেবে দেখা মিলছে বাংলার টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে। এই শোটির নাম ‘রান্না ঘরের গল্প’। আর সেখানেই এবার রান্না হল ‘বাঁধাকপির গলায় দড়ি’।

কালার্স বাংলার তরফ থেকে তাঁদের অফিসিয়াল ইনস্টা আইডিতে এই রান্নার এক ঝলক শেয়ার করা হয়। আর সেখান থেকেই যত কটাক্ষের শুরু। একজন কমেন্ট করেছেন, ‘বাঁধাকপি শেষমেশ গলায় দড়ি দিল। আমার অন্তর থেকে সমবেদনা রইল এই খাবারের জন্য, যে এই নাম ঠিক করেছেন তাঁর জন্য, আর এই শো-র জন্যও।’

তবে আপনাদের বলে রাখি ‘বাঁধাকপির গলায় দড়ি’ কিন্তু একটি বেশ পুরনো রেসিপি। কমলা সুন্দরী দেবী এর স্রষ্টা। রান্নার আগে যেহেতু বাঁধাকপিকে সুতো দিয়ে বাঁধা হয় তাই এই নাম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো অনেকেই তা ভুলতে বসেছিলেন। চাকচিক্যের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিল বাংলার নিজস্ব এই সম্পদ।

এর আগেও কটাক্ষের কারণে খবরে এসেছে ‘রান্নাঘরের গপ্পো’। সেইসময় হোস্টকে নিয়ে ট্রোল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ‘আজকের পর্ব কেমন লাগলো?’ ফেসবুকে অনুষ্ঠানের একটি ছবি পোস্ট করে জানতে চেয়েছিলেন সুদীপ্তা। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে অভিনেত্রীর উদ্দেশে একজন লেখেন,'ঠিক কাজই নিয়েছেন। বাড়িওয়ালী সিনেমায় তো রান্নার কাজই করতেন। ওখান থেকেই হাতেখড়ি...।'

এরপরই রেগে যান তিনি। স্পষ্টভাষায় জবাব দেন। লেখেন, ‘বাড়িওয়ালি সিনেমায় রান্নার কাজ করিনি, অভিনয় করেছি একটি চরিত্রে, যে অভিনয় এর জন্য সেই বছরে সারা ভারতবর্ষের সমস্ত ছবির অভিনেত্রী দের মধ্যে আমাকে সেরা নির্বাচন করা হয় এবং সেই পুরস্কার হাতে তুলে দেন ভারতবর্ষের তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি… এবার বলি, রান্না করা অত্যন্ত কঠিন একটা কাজ, আর ভাল রান্না করা আরও কঠিন। তাই হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে জল বের করে ফেলে এই কঠিন কাজটাকে সামান্য করে দিতে কোন অশিক্ষিত লোকই পারবে না।’

বন্ধ করুন