দেখতে দেখতে বিনোদন দুনিয়ায় ২৫ বছর কাটিয়ে ফেললেন খ্যতনামা ফটোগ্রাফার ডাব্বু রত্নানি। আর সেই সুবাদেই ডাব্বু রত্নানি সঙ্গে জমে উঠেছিল হিন্দুস্তান টাইমস-এর আড্ডা।
ফটোগ্রাফিকে পেশা করার বিষয়ে কথা বলার সময় ডাব্বু রত্নানি বলেন, ' প্রথম দিকে আমি অ্যাড ফটোগ্রাফার হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। মডেল অভিনেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রচারের জন্য ফটোশ্যুট করা ছিল আমার কাজ। আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল একটি ফিল্ম। সেখানে আমি একজন সহকারী ছিলাম। সেসময়ে, ফটোগ্রাফিকে কেউ পেশা হিসাবে আলাদা করে ভাবতই না। তখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, এইসব পেশাকেই সম্মানীয় পেশা হিসাবে মনে করা হত। শুরুতে ফটোগ্রাফারের পেশায় কোনও সম্মান ছিল না। আর তখনই আমি এই ফটোগ্রাফিকেই পেশা হিসাবে গ্রহণ করি। তবে আজ এটি একটি স্বীকৃত পেশা। আমি কিন্তু কোনওদিনই নিজের পছন্দকে ছোট করে দেখিনি। আমার কাজ ছিল সেরাটা দেওয়া। প্রথমদিন থেকেই এই কাজকে আমি উপভোগ করেছি।
আরও পড়ুন-'আমি কৃষ্ণ ভক্ত, পুজো আমায় শান্তি দেয়', বলছেন 'মিঠাই' সৌমিতৃষা
আরও পড়ুন-আদৃত আমার গালে চুমু খাচ্ছে, এমন ছবিও বানানো হয়েছে, খুব রাগ হয়েছিল: সৌমিতৃষা
ডাব্বু রত্নানি স্বীকার, শুরুতে ফটোগ্রাফার হিসাবে কাজ পাওয়া বেশ কঠিন ছিল। তখন তো মোবাইল, ইন্টানেটের যুগ ছিল না। বিভিন্ন পত্রিকার জন্য আমি কাজ করতাম। ডাব্বু বলেন, ‘অতীশ ছবির শ্যুটিং সঞ্জয় গুপ্তা, সঞ্জয় দত্ত, রবিনা ট্যান্ডন, করিশ্মা কাপুরকে নিয়ে মরিশাস যাচ্ছিলেন। সেটা ছিল ৪০ দিনের ট্য়ুর, আমিও ওদের সঙ্গে যোগ দি, বলি বিনা পয়সায় ছবি তুলব। সে অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ, মরিশাসে গিয়ে সঞ্জয় দত্তের ছবি তুলি, সেগুলি পত্রিকায় বের হয়। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু।’ ডাব্বু বলেন, ‘সেসময় পত্রিকায় ছবি বেচে সামান্যই টাকা পেতাম, মূলত টাকা আসত ব্র্যান্ড শ্যুটের মাধ্যমে। তখন টাকার থেকেও প্রতিষ্ঠা পাওয়াই ছিল আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
ডাব্বু রত্নানির কথায়, শ্যুটিংয়ের জন্য কখনও বরফে, কখনও উত্তপ্ত মরুভূমিতেও যেতে হয়েছে, সেগুলি বেশ কঠিন ছিল। কঠিন এক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ডাব্বু বলেন, ‘একবার আমার ক্যালেন্ডারের জন্য বরুণের ছবি তুলতে ওঁর ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলান। সেটা ছিল দক্ষিণ মুম্বইয়ের হর্নিম্যান সার্কেলে। সেখানে তখন বরুণ রাস্তায় হাঁটছিলেন। পাগলের মতো জাম্পিং করছিলেন আর কিছু বাচ্চা রাস্তার মাঝখানে স্কেটবোর্ডিং করছিল। আমি ক্যামেরা বের করতেই হঠাৎ পুলিশ এসে হাজির। বরুণ আমাকে বলেছিলেন, আপনার এই ফটোশ্য়ুটের জন্য… একদিন আপনি আমাকে গ্রেফতার করিয়ে তবেই ছাড়বেন। উত্তরে মজা করে বলেছিলাম, আপনি কারাগারের পিছনে কী করবেন, সেখান থেকেও কিছু কনসেপ্ট বেরিয়ে যাবে।’