বুধবার দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে হাজির ছিলেন ডালহৌসি পাড়ায় ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী ওরফে মমতা গঙ্গোপাধ্যায়। এমনিতেই মাসখানেক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তিনি। বেশিরভাগের কাছেই পরিচিত ‘স্মার্ট দিদি’ বা ‘নন্দিনী ম্যাডাম’ নামে।
রচনার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানালেন আগে যেখানে দিনে ২০টার বেশি প্লেট বিক্রি হত না, এখন সেখানে ৬০-৭০ প্লেট নিমেষে শেষ হয়ে যায়। সবুজ রঙের শাড়িতে বেশ সেজেগুজে নন্দিনী হাজির হয়েছিলেন দিদি নম্বর ১-এ। এমনিতেই দিদির রূপের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ সোশ্যাল মিডিয়া। ইউটিউবাররা তো প্রশ্নও করে বসেন, ‘তুমি এভাবে আগুনের সামনে থাকো সবসময়, তাও কালো হও না!’
সে যাই হোক, দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে নন্দিনী জানালেন, ছোটবেলায় অবস্থা ঠিকঠাক ছিল। বাবার রবারের ব্যবসা ছিল। তাঁর দুই বোন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। তিনিও ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়েছেন। এমন সময় নোটবন্দির সময় বাবার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। টাকার জন্য বাড়ি, মায়ের গয়না সব বিক্রি করে দিতে হয়। তারপর নন্দিনীর বাবা সেইসময় ডালহৌসিতে গিয়ে ২০০ টাকা রোজে চাকরি করছিল। তিনিও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বাইরে চাকরি নিয়ে চলে যান। আরও পড়ুন: ‘সিনেমা নিয়ে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য’ বন্ধ করার নির্দেশ মোদীর, সাধু-সাধু করল বলিউড
তারপর বাবা দোকান ভাড়া নিয়ে ভাতের হোটেল খোলেন। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় দোকান বন্ধ হওয়ার অবস্থা হয়। এরপর তিনি চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন কলকাতায়। বাবার হোটেলে যোগ দেন।
নন্দিনীর বাবা রোজ সকালে উঠে রোজ ছোটেন বেলেঘাটার বাজারে। মা বিনা কাটাকুটি করেন। এরপর মেয়ে হাত লাগান বাবার সঙ্গে রান্নায়। আর তারপর সবার পাতে হাসি মুখে তুলে দেন খাবার। গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসার কথা বলতে গিয়ে নিজের জীবনের লড়াই বলতে গিয়ো চোখে জল চলে আসে নন্দিনীর। কোনওরকমে আটকে নেন চোখের জল। রচনাকে তাঁর ভাতের হোটেলে আসার অনুরোধও করেন।
ফেসবুকে আপাতত ভাইরাল নন্দিনীর ভিডিয়ো। তবে তাতে যেমন দিদির প্রশংসা হচ্ছে, তেমন হচ্ছে চুটিয়ে নিন্দেও। কটাক্ষের ঢের লেগেছে। এর আগে কিছু সাক্ষাৎকারে নন্দিনীকে বলতে শোনা গিয়েছিল তিনি হোটেল ম্যানেজমেন্ট পরেছেন বলে দাবি নেটিজনদের। তো কেউ বলছেন, নন্দিনী ইউটিউবে এর আগে বলেছিল সে হোটেল ম্যানেটমেন্ট পড়েছে। আজ আবার নতুন কথা বলছে। আরও পড়ুন: কাইজার-কারাগার দেখে বাংলাদেশি সিরিজের প্রেমে পড়েছেন? আসছে আরও ৮, ঘোষণা হইচই-এর
কেউ আবার কমেন্টে লিখেছেন, ‘হাজার হাজার মেয়ে এরকম ভাতের হোটেল চালায়। কন্তু তাঁদের রূপ নেই বলে ভাইরাল হতে পারে না।’ আরেকজন লিখলেন, ‘কারণ ছাড়াই কেঁদে দিল। বোকা বোকা। হাসি পেল দেখে।’ তৃতীয় জনের কমেন্ট, ‘এবার শুধু বায়োপিক বানানো বাকি আছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup