দীর্ঘ ৯ মাসের লড়াইয়ের পর অবশেষে ডান্স বাংলা ডান্স ১২ -এর বিজয়ী হিসেবে উঠে এসেছে ৪ জনের নাম। এবারের গ্র্যান্ড ফিনালেতে ১০ জন জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ছোট এবং বড়দের মধ্যে ৪ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে বিজয়ী হিসেবে। এবং অবাক করে দিয়ে এবারের তিন বিজয়ীই মেয়ে। বড়দের মধ্যে বিজয়ী তথা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দিশা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিশা জানালেন তাঁর এই সফর থেকে আগামী পরিকল্পনার বিষয়ে।
ডিবিডির মঞ্চে জয়ী, এতজনের মধ্যে সেরা হওয়া, এই অভিজ্ঞতাটা কেমন?
দিশা: প্রাথমিক ভাবে বাড়ির মত ছিল না। সেখানে দাঁড়িয়ে গ্র্যান্ড ফিনালেতে জায়গা পাওয়া, জয়ী হওয়া, সবটা মিলিয়ে ভীষণই ভালো লাগছে। প্রথম যখন চান্স পাই এখানে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। কিন্তু খুব চাপও ছিল, এক তো যাঁরা কম্পিটিটর ছিলেন তাঁরা সকলেই অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তাছাড়া এখানে থাকাকালীন আমার দুটো অ্যাকসিডেন্ট হয়ে যায়, একবার উপর থেকে পড়ে যাই, আরেকবার কোমরে চোট পাই। সবটা মিলিয়েই বেশ চাপে ছিলাম যে কতদিন টিকব বুঝিনি। সেখান থেকে যখন গ্র্যান্ড ফিনালেতে চান্স পেলাম তখন দারুণ আনন্দ হয়েছিল।
সফরের অভিজ্ঞতা কেমন?
দিশা: মায়ের ইচ্ছেই ছিল যে আমি নাচ করি। মিঠুন চক্রবর্তীর সামনে নাচ করব মা চেয়েছিল, সেটা পূর্ণ হল। এবার সেই পুরনো ফর্মের মতো আবারও মহাগুরু ছিলেন, আমি তাঁর সামনে নাচ করতে পেরেছি এটাই অনেক। একদিন তো সেট থেকে বাবাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওঁরা যেভাবে বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, মহাগুরু যেভাবে বাবাকে বোঝান সেটা খুবই স্পেশাল ছিল আমার কাছে। আমার বাড়ি যেহেতু বনগাঁ, বাংলাদেশের খুব কাছে, বাবা সবার জন্য সেদিন ইলিশ নিয়ে গিয়েছিল। বিচারকরা সবাই সেগুলো তাঁদের বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন, এগুলোই অনেক বড় পাওনা আমার কাছে।
আরও পড়ুন: 'আবার কেন চর্চা হচ্ছে?' জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারের পর ফের প্রাসঙ্গিক প্রলয়, কী বলছেন রাজ-পরম?
আরও পড়ুন: ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে নারীশক্তির জয়গান! হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চ্যাম্পিয়ন কে?
বিজয়ী হওয়ার পর এখন বাড়ির সবাই কী বলছেন? খুশি তাঁরা?
দিশা: হ্যাঁ, ভীষণই খুশি। এখন তো না খুশি থাকার কোনও জায়গাই নেই। বাবার অফিসের সবাই এখন আমার নাচের লিঙ্ক চান, বাবার সঙ্গে অফিসে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। আমার দাদা আগে নাচের বিষয়ে খুব একটা সাপোর্ট করত না, কিন্তু এই ৯ মাসের জার্নিটা সম্ভব হয়েছে ওর জন্যই। আমাকে নিয়ে আসা, নিয়ে যাওয়া, কখন কী লাগবে সব দিকে খেয়াল রাখত, অনেক হেল্প করেছে। সবাই এখন ভীষণ খুশি।
এখন তবে আগামী পরিকল্পনা কী?
দিশা: প্ল্যান করে কিছু হয় না, তাই আমি খুব প্ল্যান করে প্রিপারেশন নিয়ে যে এগোই তেমনটা নয়। তবে নাচ নিয়েই এগোতে চাই। বর্তমানে আমি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাচ নিয়ে পড়াশোনা করছি। এটা আমার দ্বিতীয় বর্ষ। আপাতত পড়াশোনা শেষ করে আমি পিএইচডি করতে চাই। তাছাড়া অন্যান্য যত রিয়েলিটি শো হয় সেখানেও অডিশন দেব। কখনও অভিনয়ের যদি সুযোগ আসে দেখব যদি পারি।