শহরের বুকে ঘটে গিয়েছে একটার পর একটা খুন। আর তিনটি খুনেই রয়েছে একই প্যাটার্ন। আর এই তিনটি খুনের পরও সিরিয়াল কিলারকে ধরতে পারে না কলকাতা পুলিশ। কোনও ক্লুই নেই তাঁদের কাছে খুনিকে নিয়ে। এমন সময় এই কেসের দায়ভার এসে পড়ে প্রবীর রায়চৌধুরীর উপর। তাঁর সঙ্গী হন ইন্সপেক্টর পোদ্দার। এরপর বইয়ের পাতার মতো একটার পর একটা ঘটনা প্রবাহ উঠে আসতে থাকে টানটান তিন মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ট্রেলারে। বন্দুকের গুলি থেকে খাঁড়া, মৃত্যু থেকে ধাওয়া করা, রহস্য থেকে মুখোশ কী নেই ট্রেলারে! যেটা নেই সেটা হল কলকাতা পুলিশের কাছে সিরিয়াল কিলারের খোঁজ!
একজন মহিলা সেই খবর বয়ে আনল। বিষ্ণুর দশম অবতার মনে করছেন এক ব্যক্তি নিজেকে। পৃথিবীর জঞ্জাল সরাতে কয়েকদিনের জন্যই নাকি তিনি পৃথিবীতে এসেছেন। সেই এই খুনগুলি করছেন বলে দাবি করেন মহিলা। শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু সত্যিই সেই ব্যক্তিই খুনি তো, নাকি... থেকে গেল রহস্য।
২০১১ -এর পর ২০২৩, আবারও প্রবীর রায়চৌধুরী হয়ে ফিরলেন প্রসেনজিৎ। পাল্টায়নি এতটুকু মেজাজ, চলন বলন। ‘বাবু নয়, স্যার’ তিনি সেটা আবারও মনে করালেন এই ছবিতে। তবে প্রাককথনে অদ্ভুত ভাবে প্রবীর রায়চৌধুরী ‘ডাল ভাতে’ অরুচি দেখা গেল! রোজকার খাবারের বদলে বিরিয়ানি চেয়ে খাচ্ছেন! আর তাঁর সঙ্গী ইন্সপেক্টর পোদ্দারের মধ্যে দেখা মিলল ‘খোকা’র ছায়ার। সে আবার চিকেন চাউমিন চিলি ফিশেই স্বচ্ছন্দ দ্বিতীয় পুরুষের খোকার মতো।
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে মুখোমুখি বাঘা যতীন-দশম অবতার, চ্যালেঞ্জ নিয়ে সৃজিতের জন্য কী লিখলেন দেব
তবে জানেন কি কে সেই রহস্যজনক পুরুষের খোঁজ দিয়েছেন? জয়া আহসান! তাঁর হাত ধরেই অপরাধীর খোঁজ পায় পুলিশ। বাঁক নেয় তদন্তের মোড়। কিন্তু এই গল্পে যিশু আসলে কে? তিনি কি সত্যিই বিষ্ণুর দশম অবতার এবং খুনি নাকি...? রহস্যের পর্দা ফাঁস হবে ১৯ অক্টোবর।
পুজোর ঠিক আগেই ১৯ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত দশম অবতার। ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার এই ছবির ট্রেলার যেমন চমক দিল তেমনই ফেরাবে নস্টালজিয়া। টানটান কোনও রহস্যের গন্ধ পাওয়া গেল ভিডিয়ো থেকে। রয়েছে রূপম-অনুপমের কণ্ঠে দুই গানের ঝলক।