প্রাক্তন সাংসদ, তথা অভিনেত্রী জয়া প্রদা কে‘পলাতক’ ঘোষণা করেছিল আদালত। অবশেষে সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন প্রাক্তন সাংসদ, তথা অভিনেত্রী। এর আগে জয়া প্রদাকে ৬ মার্চের মধ্যে গ্রেফতার করে তাঁকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের রামপুরের একটি আদালত পুলিশ সুপার এই নির্দেশ দেয়।
কিন্তু কেন পলাতক ঘোষণা করা হয়েছিল জয়াপ্রদাকে?
সিনিয়র প্রসিকিউশন অফিসার অমরনাথ তিওয়ারি এর আগে জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অপরাধে কেমারি এবং সোয়ার থানায় রামপুরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়। এই অভিযোগ দায়েরের পর একাধিকবার জয়া প্রদাকে হাজিরার নির্দেশ দেয় বিশেষ এমপি এমএলএ কোর্ট। তবে জয়া প্রদা হাজিরা দেননি। আর তাই তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৭ বার জামিন অযোগ্য ধারায় পরোয়ানা জারি হয়। তবে তার পরেও তাঁকে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, জয়া প্রদা বারবার গ্রেফতারি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সব ফোন সুইচ অফ আসছে বারবার। এর পরই বিচারক শোভিত বনসল জয়াপ্রদাকে পলাতক ঘোষণা করেন। তিনি রামপুরের পুলিশ সুপারকে বিচারক নির্দেশ দেন আগামী ৬ মার্চের মধ্যে জয়াপ্রদাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করতে হবে।
তাঁকে গ্রেফতারি নির্দেশ দেওয়ার পর অবশেষে জয়া প্রদা নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে সোমবার আদালতে পৌঁছোন। তিনি বিশেষ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শোভিত বনসালের সামনে হাজিরা দেন।
সোমবার এই মামলার শুনানির সময় আদালত প্রথমে তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়। ফলে বেশ কিছুক্ষণ জয়াপ্রদাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। তবে তাঁর আবেদন বিবেচনা করে এবং তিনি যেহেতু অসুস্থ ছিলেন, আদালত পরে তাঁর শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করে। দুটি মামলার জন্য ২০,০০০ টাকা করে মোট ৪০,০০০ টাকার বন্ডে জয়াপ্রদা জামিন পান।
এদিন জয়া প্রদা আদালতকে আশ্বাস দেন যে তিনি প্রতিটি শুনানির জন্য ব্যক্তিগতভাবে আদালতে উপস্থিত হবেন এবং উপস্থিতি থেকে অব্যাহতির জন্য কোনও আবেদন করবেন না। আর তাঁর এই আশ্বাসের পরই তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আদালত গত ২৭ ফেব্রুয়ারী তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়ার পরে, জয়া প্রদা তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া জামিন অযোগ্য পরোয়ানা বাতিল করার জন্য এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটা পিটিশন দাখিল করেন। যদিও সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেয়।