টুইটারে দীপিকা পাড়ুকোনের ছপাক বয়কটের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং পুদুচেরি সরকার ছপাককে করমুক্ত করল ছপাককে। বৃহস্পতিবারই পরিচালক মেঘনা গুলজারের এই ছবিকে রাজ্যে করমুক্ত ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। এদিন টুইট বার্তায় কমল নাথ লেখেন, ‘অ্যাসিড আক্রান্তের উপর তৈরি দীপিকা পাড়ুকোনের ছবি ছপাক, যা ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে দেশের সিনেমাহলগুলোতে, সেই ছবিকে আমি মধ্যপ্রদেশে করমুক্ত ঘোষণা করছি’।
মধ্যপ্রদেশের পদচিহ্ন অনুসরণ করে কংগ্রেস শাসিত অপর রাজ্য ছত্তিশগড়ও ছপাককে ট্যাক্স ফ্রি ঘোষণা করল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছপাককে করমুক্ত ঘোষণা করেছে কংগ্রেস শাসিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিও। সেকথা টুইট করে জানান মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী।
মঙ্গলবার জেএনইউর বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের মাঝে হাজির হয়েছিলেন মস্তানি। জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের উপর ঘটা হামলায় মর্মাহত দীপিকা, তাই অভিনেত্রী পৌঁছেছিলেন পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাতে। বাম ছাত্র আন্দোলনের সভায় দীপিকার হাজির হওয়াটা ভালোভাবে নেয় নি গেরুয়া শিবির। এরপর থেকেই বিজেপির নিশানায় দীপিকা পাড়ুকোন। টুইটারে ছপাক বয়কটের ডাক তোলেন বিজেপি নেতা-সমর্থকরা। তবে দীপিকার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে নেটিজেনদের একাংশ থেকে বলিউড সেলেবরাও।
অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের বাস্তব গল্পকে এই ছবিতে ফ্রেমবন্দি করেছেন পরিচালক মেঘনা গুলজার। যদিও ছবিতে দীপিকা অভিনীত চরিত্রটির নাম মালতি। ২০০৫ সালে ১৫ বছরের লক্ষ্মী আগারওয়ালের মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে মেরেছিল তাঁরই এক পরিচিত। সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করে লক্ষ্মী এবং কেমনভাবে হাজার হাজার লক্ষ্মীর অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে সে, সেই গল্পই রূপোলি পর্দায় ফুটে ওঠেছে।
এই ছবির সঙ্গেই প্রযোজক হিসাবে পথচলা শুরু করলেন রণবীর সিং ঘরনি। ছবিতে দীপিকার পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বিক্রান্ত মাসি।