শনিবার মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ছিল বাঙালিরা। লক্ষ্মীপুজোর ছবি তাঁরা ভাগও করে নেন সামাজিক মাধ্যমে। যার মধ্যে বিশেষ করে চোখ টানলেন উত্তম কুমারের নাথ বউ। লাল শাড়ি পরে তিনি যেন সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মী। চোখ সরানো যাচ্ছে না দেবলীনার উপর থেকে।
এদিন কিন্তু দুই বাড়ির পুজোতেই সামিল হয়েছিলেন। চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে বহু বছর ধরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়ে এসেছে। এদিন বহু তারকা আসেন উত্তম কুমারের বাড়িতে। আবার বাপের বাড়িতেও প্রতি বছর লক্ষ্মীপুজোর কাজ করে থাকেন। দুই বাড়ির পুজোই সামলালেন তিনি।
লক্ষ্মীর ঘট সাজানো থেকে প্রসাদ তৈরি, অভিনেত্রী নিজের হাতে করেছেন পুজোর অনেক কাজই। লক্ষ্মীপুজোর আগের রাতেই দেবী এসেছিলেন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। নিজের হাতে মা-কে বরণ করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যালে। পিছনে দেখা গিয়েছিল শাশুড়িকে। ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘লক্ষ্মী এল ঘরে’।
সাদা শাড়ি লাল পার পরে ঘটে করে জল আনার ছবিও ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি সোশ্যালে। বাপের বাড়িতে আগের দিন রাত থেকেই আয়োজন করার চল আছে। নিজের হাতে নাড়ু তৈরি করেছেন। মেনুতে রয়েছে পায়েসও।
দেবলীনার লক্ষ্মী আরাধনার ছবি মন জয় করে নিয়েছে নেটপাড়ার। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘তুমি সত্যি মা লক্ষ্মী। কী সুন্দর করে একা হাতে দুই বাড়ির পুজো সামলালে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘তোমার থেকে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না।’
সদ্য দেবলীনাকে দেখা গিয়েছে রক্তবীজ সিনেমায়। শিবপ্রসাদ আর নন্দিতার পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ছবিখানা। এইব সিনেমায় আবির-মিমি মুখ্য চরিত্রে থাকলেও, সকলের পছন্দ হয়েছে দেবলীনা কুমারের কাজ। এর আগে প্রাক্তন, গোত্র, হামি ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
এরপর রক্তবীজ ছাড়াও রাজর্ষী দে-র সাদা রঙের পৃথিবী-তে দেখা যাবে দেবলীনা কুমারকে। কাশীর বিধবাদের উপর এই ছবি। মূলত বেনারসেই শ্যুটিং। আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে সমাজে বিধবাদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে গল্প। মুক্তি মণ্ডপ নামে একটি বিধবা আশ্রমকে কেন্দ্র করেই এগোবে ঘটনা।
দিনকয়েক আগে বাবা দেবাশীস কুমারের পথ অনুসরণ করে রাজনীতিতে নামা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন দেবলীনা। জানিয়েছিলেন, ‘বাবা যে পার্টিই করুক না কেন, সবাই কিন্তু একটা কথা বলে, উনি ২৪ ঘণ্টা মানুষের পাশে আছেন। আমি চাই আমি যখন সেই কাজটা করব তখন ২৪ ঘণ্টা না হলেও, নিজের ১০-১২ ঘণ্টা সেখানে দিতে পারি। নয়তো বাবারই নাম খারাপ করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি এত বড় হয়ে লকডাউনে জানতে পেরেছিলাম বাবা বাড়িতে থাকলে কেমন হয়। আমি কোনওদিন ঘুম থেকে উঠে বাবাকে বাড়িতে দেখিনি। রবিবারও বাবা কাজে যেত। আমার কাছে রাজনীতি ২৪ ঘণ্টার পেশা। আমি এখন সিরিয়াল করছি না। তাই হয়তো রোজ শ্যুট আমার থাকে না। তবে নাচ আছে, কলেজে পড়ানো আছে। আমি চাই আমি যখন রাজনীতি করব সেটার পিছনে সময় দিতে পারলেই করব। তাই রাজনীতির কথা আমি এখনও ভাবছি না। বাবাও হয়তো আমাকে উৎসাহ দেননি এখনও।’