'হাঙ্গামা ২' নিয়ে দারুণ হইচই না হলেও ছবিতে মিজান জাফরির অভিনয় কিন্তু বেশ পছন্দ হয়েছে দর্শকের। যদিও দর্শকের একাংশের পাকাপোক্ত ধারণা যে যাঁর দাদুর নাম জগদীপ এবং বাবা জাভেদ জাফরি, তাঁর জন্য বলিউডে ঢোকার টিকিট পাওয়াটা কোনও ব্যাপারই নয়! এমন কথা বললেন স্বয়ং মিজান। পাশাপাশি আরও জানালেন যে প্রথম দিকে এসব কথায় সামান্য খারাপ লাগলেও এখন আর সেসব পাত্তা দেননা তিনি।
সম্প্রতি, আর.জে সিদ্ধার্থ কন্ননের রেডিও শোয়ে হাজির হয়েছিলেন মিজান। সেখানেই বলিউড এবং নিজের কেরিয়ার নিয়ে কথা বলার ফাঁকে 'হাঙ্গামা' তারকা বলে ওঠেন, 'অনেকেই মনে করেন আমাকে বড়পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ প্লেটে করে সাজিয়ে মুখের সামনে তুলে ধরা হয়েছে!' এ ধারণা যে কতটা অযৌক্তিক তাঁর কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে জাভেদ-পুত্র বলে ওঠেন,' বর্তমানে নেপোটিজম বিতর্কে বলিউড যখন উত্তাল সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আমার জন্য কে এমন ঝুঁকি নেবেন। এর ওপর আমার ওপর নানারকম কটুক্তি, ভুল ধারণা চাপিয়ে দেওয়া তো রয়েইছে। আমি অবশ্য এসব আর গায়ে মাখি না। কারণ আর কেউ না জানুক, আমি তো জানি কতটা পরিশ্রম করে আজ আমাকে এই জায়গায় আসতে হয়েছে। বলিউডে নিজের রাস্তা তৈরি করার জন্য ঠিক কতটা চেষ্টা ও পরিশ্রম দিন রাত করতে হয় নিজেকে, তা আমার থেকে ভালো আর কেইই বা জানবে। সত্যিকারের পরিস্থিতিটা তো মানুষ কখনওই বুঝবেন না!'
সামান্য থেমে অভিনেতার সংযোজন,' আমার বাবা কোনওদিন তাঁর বাবার নাম ভাঙিয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু করেননি। নিজের যোগ্যতায় মানুষের কাছে পৌঁছেছেন জাভেদ জাফরি। আমিও সেই পথই অনুসরণ করেছি। আর তাছাড়া দিনের শেষ আমার কাজই আমার হয়ে কথা বলবে। কাজ যদি ভালো না হয় তাহলে আমার নামের সঙ্গে যতই ভারি ও দামি মানুষের নাম জড়িয়ে থাকুক না কেন, এক লহমায় দর্শক আমাকে ছুড়ে ফেলে দেবেন। ইন্ডাস্ট্রিও আর সুযোগ দেবে না।'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে 'মালাল' ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করার আগে সঞ্জয় লীলা বনশালির সহযোগী পরিচালক হিসেবে 'পদ্মাবৎ' ছবিতে কাজ করেছেন মিজান। বনশালির পরবর্তী ছবি 'গঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি' তেও সহযোগী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন মিজান।