দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে সুন্দরবনের ঝড়খালি মেয়ে গীতা। প্রত্যন্ত এই গ্রামের মেয়ের পেশা হল কাঁকড়া তোলা, মাছ ধরা। গীতা মল্লিক সরদার মাতলা নদীতে নৌকা চালান, মাঝিও তিনি। বিয়ের পর গত ৭ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত।
গ্রামের এক ছেলের সঙ্গেই বিয়ে করেন গীতা দেবী। শোনালেন তাঁদের জীবন-যুদ্ধ, জীবিকার কাহিনি। স্বল্প জমিতে চাষ করে সংসার চালাতেন তাঁর স্বামী। বাবার সঙ্গে নদীতে গিয়ে নৌকা চালানো শেখা গীতা দেবীর। সন্তান জন্মের পর অভাবের সংসারের হাল ধরতেই এই পেশাকে বেছে নেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘ভয়ে মরে যাওয়ার মতো অবস্থা’, নকল ভেবে আসল সাপের সঙ্গে শ্যুটিং করেছিলেন অমিতাভ
চাষবাসের উপার্জন থেকে সারা বছর সংসার চলে না। জঙ্গলে বাঘ আর জলে কুমিরের থেকে পিঠ বাঁচিয়েই কাঁকড়া তোলেন, মাছ ধরেন। বাকি দিনগুলি মাতলা নদীতে নৌকা চালিয়ে যাত্রী পারাপার করেন। তবে জঙ্গলে সরু সরু খালের মধ্যে দিয়ে গিয়ে কাঁকড়া তোলা, মাছ ধরার সময় বাঘের গর্জন, কুমিরেরও মুখোমুখি হয়েছেন। সেক্ষেত্রে সাবধানতা বজায় রাখেন। অনেক ক্ষেত্রে ফিরেও আসতে হয় তাঁদের সেখান থেকে। আরও পড়ুন: অভিনয়ের পর নতুন পদক্ষেপ অপু বিশ্বাসের, এবার নায়িকাকে দেখা যাবে অন্য ভূমিকায়
গীতা দেবীর কথায়, যেটুকু উপার্জন করেন সংসার চলে যায় তাতে। পরিবারের সঙ্গে এ দিন খেলতে এসেছিলেন তিনি। গীতা মল্লিক সরদারের জীবিকা শুনে হাঁ হয়ে যান রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।