জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় মেগা ধারাবাহিক ‘মন দিতে চাই’। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অরুণিমা হালদার এবং ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। ধারাবাহিকে হিরোর ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করছেন অনামিকা সাহা। ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী, পায়ের ছাপ দেখে নাতবৌ খুঁজে এনেছেন তিনি। এ দিকে তিতিরের শাশুড়ি হিসেবে দেখা যাচ্ছে নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়।
দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে খেলতে এসেছিলেন ‘মন দিতে চাই’ ধারাবাহিকের টিম। মঞ্চে সকলকে দেখা গেল বেশ ফুরফুরে মেজাজে। ধারাবাহিকের সেটের থেকে নানা ধরনের গল্প দিদি রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ধারাবাহিকে যতই শাশুড়ি-বউমা অশান্তি করুক দিদি মঞ্চে পরস্পরের নামে ভালো কথা শোনা গেল তাঁদের মুখে। নন্দিনীর কথায়, ধারাবাহিকে তাঁদের টম অ্যান্ড জেরির মতো সম্পর্ক। নন্দিনীর আক্ষেপ ‘মালিনী ব্যানার্জী’ হয়ে তাঁকে কী কী না খারাপ করতে হয়। যদিও তিনি মনে করেন বাস্তবে অত খারাপ কেউ হয় না। আরও পড়ুন: পণ্য বয়কটের মাঝে ভারতে বাংলাদেশের তারকাদের জয়জয়কার! ফিল্মফেয়ারে বাজিমাত জয়া, ফারিণ, সোহেলের
সঙ্গে সঙ্গে পাশের থেকে নড়েচড়ে ওঠেন অনামিকা সাহা। তিনি বলেন, ‘না না! ওর থেকেও খারাপ হয়। (হাসি) আগে তো বিন্দুমাসি করেছি’। সঙ্গে সঙ্গে দিদির মন্তব্য, ‘যখনই জীবনে কোনও প্রবলেম হবে ঠাম্মি কাছে চলে যাবে’। মাথায় নাড়িয়ে সহমত জানিয়ে নন্দিনীও বলেছে, ‘অনামিকা দির সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। ওঁর কথাগুলো শুনি। আর মনে মনে ভাবি, ওঁ আমার অনুপ্রেরণা। ওত ভালো মানুষ যখন খল চরিত্রে অভিনয় করতে পারে। তাহলে আমি নয় কেন! আমিও করব’।
বিরতির সময় কীভাবে সেটে সময় কাটে? নন্দিনী জানিয়েছেন, ‘আমাদের ইউনিটটা এত ভালো, সবার সঙ্গে সবার এত দারুণ বন্ডিং হয়ে গিয়েছে, দিব্যি কেটে যায় সময়’। সঙ্গে সঙ্গে অনামিকা দেবী ফাঁস করেন, ‘ও আমি একই মেকআপ রুম শেয়ার করি। ও গাড়িতে করে ম্য়াট নিয়ে আসে। বিরতির সময় ড্রাইভার এসে ম্যাটটা দিয়ে গেল, ও সেটাকে মাটিতে ফেলল, প্রথমবার তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবছি কী করবে রে বাবা এটাকে দিয়ে! তারপর দেখলাম শুয়ে পড়ল। শুয়ে পুরো পা তুলে মাথার দিকে পা পুরো তুলে রেখে দিল।’ (হাসি)
অনামিকা দেবী জানালেন, নন্দিনী কুড়ি মিনিট ধরে ওভাবেই পা তুলে শুয়ে ছিলেন। এরপরই রচনার মন্তব্য, ‘শীর্ষাসন!’ নন্দিনী জানালেন ওটা শীর্ষাসন নয়। এরপরই জানালেন, তাঁর ছেলে লন্ডনে রয়েছেন চাকরি করছেন। মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি খিদিরপুরে। এমন অনেক মজার আড্ডা হল দিদির মঞ্চে।