শুক্রবার আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলে বসেছিল ফিল্মফেয়ার বাংলা ২০২৪-এর আসর। সম্মানজনক ও তুমুল জনপ্রিয় পুরস্কারের মঞ্চ ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস’। অন্যতম ঐতিহ্যশালী পুরস্কার হিসাবে গণ্য করা হয় ফিল্মফেয়ারকে। সেখানেই ঘোষিত হয় বিজয়ীদের নাম। এবারের আসরে বাজিমাত করেছেন বাংলাদেশের তিন তারকা। পুরস্কার পেয়েছেন দুই বাংলার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান, তাসনিয়া ফারিণ ও সোহেল মণ্ডল।
‘অর্ধাঙ্গিনী’তে অভিনয় করে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা জয়া আহসান। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্য়ায় ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ব্ল্যাক লেডি হাতে নিয়ে উচ্ছ্বসিত জয়া বলেন, ‘সমালোচক আর জনপ্রিয় বিভাগে-এর আগে আমি পেয়েছি। কিন্তু এই বিভাগে এটিই আমার প্রথম। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার টিমের সবাইকে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দর্শক, শুভানুধ্যায়ী এবং সাংবাদিক সবাইকে ধন্যবাদ আমাকে ভালোবাসার জন্য।’ আরও পড়ুন: ফিল্মফেয়ারে চমক! স্বস্তিকা-জয়া-চূর্ণীর সঙ্গে পুরস্কার হাতে একফ্রেমে প্রসেনজিৎ
সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ‘আরও এক পৃথিবী’ সিনেমার জন্য সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পুরস্কার হাতে নিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘কলকাতায় এটা শুধু আমার প্রথম ছবিই নয়, ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি আমার। আমি চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব দেওয়ার, বাকিটা দর্শকেরা পছন্দ করেছেন। অনেক বেশি ভালোবাসা পাচ্ছি আসার পর থেকে।’
জয়া-ফারিণের পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন তরুণ অভিনেতা সোহেল মণ্ডল। ইন্দ্রনীল রায় পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন তিনি। ভিসা জটিলতার কারণে মর্যাদাপূর্ণ এই আসরে থাকতে পারেননি অভিনেতা। ফিল্মফেয়ারের পেজে তাঁর ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে যখন বাংলাদেশের অভিনেতাদের জয়জয়কার, তখনই বিগত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে ক্রমশ বাড়ছে ভারত বিরোধিতা। সেইসঙ্গে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক তুলেছেন একাংশ। গত কিছুদিন ধরে সুনির্দিষ্টভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক নেটিজেন প্রচার চালিয়ে আসছিলেন। এতদিন ‘ইন্ডিয়া আউট’ বা ভারতীয় পণ্য বয়কট করার ডাক সীমাবদ্ধ ছিল সোশ্যাল মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে এবার তাতে বাংলাদেশের রাজনীতির ছোঁয়াও লেগেছে। এ নিয়ে বেশ কিছু গ্রুপও খোলা হয়েছে, যেসব গ্রুপে হাজার হাজার মানুষ সদস্য হয়েছেন। এখানে অনেকেই দাবি করেছেন, তারা এখন ভারতীয় পণ্যের বদলে দেশের বা অন্য দেশের পণ্য ব্যবহার করতে শুরু করেছেন।
তালিকায় রেখেছেন সাবান, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, টুথপেস্টের মত টয়লেট্রিজ এবং বোতলজাত পানি, জীবাণুনাশক, মশানাশকসহ আরো নানান পণ্য। গাড়ি বা মোটরসাইকেল টায়ার থেকে শিশুখাদ্যের কথাও লিখছেন অনেকে। যদিও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বা খুচরো বিক্রির ক্ষেত্রে এই ক্যাম্পেইনের তেমন একটা প্রভাব তারা দেখছেন না।