এভাবেও ফিরে আসা যায় ২০২৩ সালে দেখিয়ে দিয়েছেন শাহরুখ খান। এ বছর বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে বাদশার তিন ছবি। শুরুটা হয়েছিল ‘ব্লকবাস্টার’ পাঠান দিয়ে। ১০০০ কোটির গণ্ডি পার করা দ্বিতীয় হিন্দি সিনেমা শাহরুখের এই ছবি। সেপ্টেম্বরে নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন কিং খান। পাঠানের আয়কে ছাপিয়ে যায় ‘জওয়ান’। বড়দিনে ১০০০ কোটির হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলেন শাহরুখ।
তবে ‘ডাঙ্কি’ সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। রিপোর্ট কার্ড বলছে মুক্তির প্রথম ৬ দিনে দেশের বক্স অফিসে ১৫০ কোটির ব্যবসা করেছে শাহরুখ-রাজু হিরানি জুটির এই ছবি। তুল্যমূল্য বিচারে ‘ডাঙ্কি’ ম্যাজিক ফিকে, তবে অভিনেতা সন্তুষ্ট এই ছবি নিয়ে। বুধবার #AskSRK সেশনে ভক্তদের সে কথাই জানালেন সুপারস্টার। মাত্র ১৫ মিনিটের সময় বেঁধেছিলেন শাহরুখ। ছোট ছেলের কাছে ভিডিয়ো গেমে হেরে একটু জিইয়ে নিতে সোশ্যালে ঢুঁ মারেন নায়ক। উত্তর দেন ভক্তদের কিছু বাছাই করা প্রশ্নের।
সেইসময়ই এক ভক্ত শাহরুখের কাছে জানতে চান, যখন আপনাকে নিয়ে ভুলভাল খবর প্রকাশিত হয়, আপনি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে কীভাবে থাকেন? আগে ছিল ম্যাগাজিন, এখন (অনলাইন) নিউজ, তবে সবার একটা মতামত রয়েছে। সেটা কি আপনাকে প্রভাবিত করে বা কোনওভাবে বিব্রত করে?' এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শাহরুখ একটি প্রচলিত প্রবাদের আশ্রয় নেন। তাতে একটি অপশব্দও রয়েছে। সেটি যদিও উহ্য রাখেন ‘ডাঙ্কি’ তারকা লেখেন, ‘হা হা…প্রচলিত প্রবাদ শুনেছো নিশ্চয়, মতামত হল A*****S-এর (লেখার অযোগ্য শব্দ, শাহরুখও উহ্য়ই রেখেছেন) মতো, সবারই একটা থাকে’। তবে বন্ধু আমি নিজের বিশ্বাসে আস্থা রাখি, অন্যের মতামতে নয়'।
‘ডাঙ্কি’র সাফল্যে সন্তুষ্ট তিনি, সে কথাও জোর দিয়ে জানান অভিনেতা। পরপর এত কাজ, এত ব্যস্ততা। হাঁফিয়ে ওঠেননি শাহরুখ? নায়কের জবাব- ‘ফিট থাকাটা মনের একটা অবস্থা। আমি নিজের ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে খুশিতে আছি। খুশি থাকাটাই আমার ফিট থাকার চাবিকাঠি। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দ খুঁজে নেওয়াটাই আমাকে ফিট রাখে’।
পাঠান, জওয়ান ও ডাঙ্কি, তিনটি ছবির মধ্যে কোন ছবিটা অভিনেতা হিসাবে বেশি কঠিন এবং ডিম্যান্ডিং ছিল শাহরুখের কাছে? ১০০০ কোটির দুই ছবি ছেড়ে 'ডাঙ্কি'কেই বেছে নেন বাদশা। জানান, একাধিক ইমোশনের সঙ্গে যেখানে কাজ সেটা করাই একজন অভিনেতার পক্ষে বেশি কঠিন। তাই নিঃসন্দেহে ডাঙ্কি'।