'সাহেবের চিঠি' এবং 'এক্কা দোক্কা'। জলসার বড় দুই ধারাবাহিকের মাঝে মাত্র সপ্তাহ তিনেকের ব্যবধান। তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে ইতিমধ্যেই অগ্রজকে ছাপিয়ে গিয়েছে অনুজ। টিআরপি তালিকার হিসেবনিকেশ অন্তত তেমনটাই বলছে।
২৭ জুন থেকে সম্প্রচারিত হয় 'সাহেবের চিঠি'। মুখ্য চরিত্রে ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই মুখ- প্রতীক সেন এবং দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। প্রথম জন কাজ করেছেন 'খোকাবাবু', 'মোহর'-এর মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে। দ্বিতীয়জন সফল 'সাঁঝের বাতি'র সুবাদে।
মনে করা হয়েছিল, দর্শকের প্রশংসা পাবে দু'জনের রসায়ন। এগিয়ে থাকা যাবে টিআরপি প্রতিযোগিতায়। কিন্তু হায়, কল্পনার সঙ্গে মিলল না বাস্তব। সম্প্রচারের এক মাস পরেও সেরা দশের তালিকায় ব্রাত্য অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত 'সাহেবের চিঠি'।
এই ধারাবাহিকের গল্প আবর্তিত মধ্যবিত্ত চিঠির সঙ্গে তারকা সাহেবের প্রেমকে ঘিরে। তবে কি দু'জনের রসায়ন দর্শক-মনে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ? নাকি লেখনীর দুর্বলতাই পিছিয়ে পড়ার আসল কারণ? এমন নানা প্রশ্ন উঠছে ভক্তমহলে।
অন্য দিকে, প্রথম সপ্তাহেই টিআরপি-র দৌড়ে সামিল 'এক্কা দোক্কা'। খুব উপরে না থাকলেও আপাতত জায়গা করে নিয়েছে সেরা দশের তালিকায়। ১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিকেও নতুন জুটির আবির্ভাব। নায়ক-নায়িকার ভূমিকায় সপ্তর্ষি মৌলিক এবং সোনামণি সাহা। গল্প বোনা হয়েছে হয়েছে নতুন প্রজন্মের প্রেম, রেষারেষি, বন্ধুত্বকে ঘিরে। দুই কলেজপড়ুয়ার অম্লমধুর রসায়ন নিয়ে চর্চা নেহাত কম নয়।
সাহেব-চিঠির দ্বন্দ্ব নয়, রাধিকা-পোখরাজের খুনসুটিতেই মজে দর্শক। টিআরপি তালিকাতেও সেই ছাপ স্পষ্ট। অর্থাৎ বলাই যায়, গুনে গুনে 'সাহেবের চিঠি'কে দশ গোল 'এক্কা দোক্কা'র।