তিনি রুপান্তরকামী। একসময় পুরুষ থেকে নিজের অন্তরের নারীটিকেই শারীরিকভাবেও স্বীকৃতি দিতে কিছু কম লড়াই করতে হয়নি শ্রী ঘটককে। নিজের জীবনের এই লড়াইয়ে শ্রী পাশে পেয়েছিলেন বন্ধু সঞ্জয় মুহুরির। বর্তমানে যিনি শ্রীর স্বামী। ২০১৬ সালে আইনি স্বীকৃতিতেই তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। পরে শ্রী মাতৃত্বের স্বাদও পেয়েছেন। পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শ্রী। তিনি এখন সম্পূর্ণ রূপেই নারী। তবে শুধুই নারী নন, প্রতিষ্ঠিত নাারী। শ্রী ঘটক মুহুরির আরও একটি পরিচয় হল তিনি অভিনেত্রী।
হ্য়াঁ, পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বলিউডেও পাড়ি দিয়েছেন শ্রী ঘটক। ২০১৯-এ রামকমলের ‘সিজনস গ্রিটিংস'-এ অভিনয় করেছিলেন শ্রী ঘটক মুহুরি। সেই তখন থেকেই রামকমলের সঙ্গে শ্রী ঘটক মুহুরির সম্পর্কের সূত্রপাত। পরিচালক-অভিনেতার সম্পর্কের বাইরেও শ্রীকে বোন পাতিয়েছেন রামকমল মুখোপাধ্যায়। আর তাই বোনের ডাকে এবার রাখিপূর্ণিমাতেও কলকাতায় হাজির পরিচালক রামকমল।রামকমল মুখোপাধ্যায়ের হাতে রাখি বাঁধলেন শ্রী। সেই মুহূর্ত লেন্সবন্দি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার ক্যামেরায়।
আরও দেখুন- রূপান্তরকামী বোনের থেকে রাখি পরে কী বললেন রামকমল?
রামকমল জানালেন, 'শ্রীর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা কোনও স্বার্থের সম্পর্ক নয়।' অনেকেই কাজের জন্য যোগাযোগ রাখেন, শ্রী কিন্তু সারা বছর নিয়মিত যোগাযোগ রাখে।’ পরিচালকের কথায়, ‘শ্রী শুধু আমার সঙ্গেই নয়, আমার স্ত্রী সর্বাণীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে। সিজনস গ্রিটিংস-এর টিমের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে। যখন শ্রী-র মা হল, তখনই ও আস্তে বলেছিল, ওর ছেলেকে আশীর্বাদ করতে। তবে আসতে পারিনি। তাই রাখিতে চলে এলাম।’
পরিচালক দাদাকে নিয়ে শ্রী ঘটক বললেন, ‘ওঁর মতো দাদা পাওয়া ভাগ্য়ের বিষয়।’ শ্রীর কথায়, ‘সিজনস গ্রিটিংসের পর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে, কিন্তু দেখা হয়ে উঠছিল না। শুধু দাদা নয়, সর্বাণীদিও (পরিচালকের স্ত্রী) নিয়মিত যোগযোগ রাখেন, আমি মা হওয়ার পরও লম্বা মেসেজে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। সেলিনাও (সেলিনা জেটলি) যোগাযোগ রাখেন।’ সবশেষে একযোগে ভাই-বোন রামকমল এবং শ্রী বললেন, আজ রাখি বন্ধনের মধ্যে আমাদের সম্পর্কটা আরও মজবুত হল।