সত্যজিৎ রায়-এর ফেলুদা এমন একটা চরিত্র যাকে বাঙালি বইতে যেমন গোগ্রাসে গিলতে পছন্দ করে, তেমনই আবার ভালোবাসে পরদায় দেখতে। তা সে টিভি হোক, সিনেমা হোক, বা হাতের মুঠোফোনখানাই হোক না কেন! ফেলুদা এলেই পোয়াবারো, আর সঙ্গে যদি লালমোহন গাঙ্গুলী আর তোপসে থাকে তাহলে তো কথাই নেই।
প্রকাশ্যে এল সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়ের ফেলুদা সিরিজ ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরির’র নতুন গল্প ‘দার্জিলিং জমজমাট’। মানে বাঙালির সবক'টা নস্টালজিয়া একসঙ্গে। ফেলুদা হিসেবে টোটা ঠিক কেমন এতদিন দতা নিয়ে জল্পনা, আলাপ-আলোচনা কম হয়নি। আর ট্রেলার সামনে আসতেই দেখা গেল ‘ফেলুদা সোয়্যাগ’ খুব ভালোভাবে ফটিয়ে তুলেছেন তিনি। টানটান চেহারা, চোখে-মুখে ফুটে ওঠা কনফিডেন্স, অ্যাকশন দৃশ্যের সাবলীলতা ২.৩৫ মিনিটের ট্রেলার চলাকালীন একবারও আপনাকে চোখের পলক ফেলতে দেবে না।
সিরিজে জটায়ুর ভূমিকায় অভিনয় করে আগেই প্রশংসা পেয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী । তোপসে হিসেবে কল্পন মিত্রকেই দেখা যাবে। এছাড়াও জটায়ুর পরিচালক বন্ধু পুলক ঘোষালের চরিত্রে রয়েছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন বরুণ চন্দ, সুপ্রভাত দাস, লোকনাথ দে, সাহেব ভট্টাচার্য, ইন্দ্রাশীস রায়-রা। সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জয় সরকার।
ট্রেলার নিয়ে, বিশেষ করে টোটাকে ফেলুদা হিসেবে পেয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শকদের। একদল যেমন টোটাকে দেখে খুশি। একবাক্যে মেনে নিয়েছেন, ‘দারুণ মানিয়েছে’, তেমনই কেউ কেউ আবার বলছেন এতগুলো ফেলুদাকে পরদায় পেয়ে একটু যেন গুলিয়ে যাচ্ছে তাঁদের! টোটার মধ্যে সেই ব্যাপারটা নেই, যা আছে সবসাচী চট্টোপাধ্যায়ের। তবে এসব বিতর্ক কাটিয়ে বাঙালি অন্তত অধীরে অপেক্ষা করছে ১৭ জুন। ওদিন থেকেই হইচইতে দেখা মিলবে ‘দার্জিলিং জমজমাট’।
আড্ডা টাইমসের জন্য প্রথম ‘ফেলুদা’ সিরিজ (নাম ছিল ফেলুদা ফেরত) বানানোর কাজে হাত দেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই গোয়েন্দা চরিত্রে অভিষেক টোটা রায়চৌধুরীর। প্রথম গল্প যা নিয়ে সৃজিৎ কাজ করেছিলেন তা হল ছিন্নমস্তার অভিশাপ। মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল তা। এখন দেখার দার্জিলিং আর ফেলুদা-লালমোহন-তোপসের ট্রায়ো কী কামাল দেখায়।