রুপোলি পর্দায় হাতুড়ি হাতে পাক সেনাদের টক্কর দিয়েছেন ‘তারা সিং’ সানি দেওল। আর বাস্তবে সেই হাতুড়ি দিয়েই বক্স অফিসের একের পর এক রেকর্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন অভিনেতা। দ্বিতীয় সপ্তাহে পা দিয়েও এতটুকু ফিকে হয়নি সানি-ম্যাজিক। বরং তার বহর যেন বেড়েই চলেছে। দ্বিতীয় রবিবার গদর ২ আয় করেছে ৩৯ থেকে ৪০ কোটি টাকা! যা এক কথায় অভাবনীয়। হিন্দি মার্কেটে নতুন রেকর্ড কায়েম করলেন সানি দেওল।
রবিবার ৪০ কোটি টাকা কামাইয়ের ফলে দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে গদর ২-র কালেকশন ছুঁল ৯০ কোটি টাকা। এর আগে কোনও ছবি হিন্দি মার্কেটে দ্বিতীয় সপ্তাহে এত বিরাট অঙ্কের কালেকশন করেনি। এতদিন এই রেকর্ড ছিল বাহুবলী টু-এর দখলে। পাঁচ বছর আগে মুক্তি পাওয়া প্রভাসের ছবির দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে আয় ছিল ৮০ কোটির কাছাকাছি, সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন সানি-আমিশারা।
এক নজরে দেখে নিন দ্বিতীয় সপ্তাহে গদর ২-এর আয়ের অঙ্ক:
শুক্রবার ১৮ অগস্ট: ২০.৫ কোটি
শনিবার ১৯ অগস্ট: ৩২ কোটি টাকা
রবিবার ২০ অগস্ট: ৪০ কোটি টাকা (প্রাথমিক রিপোর্ট অনুসারে)
প্রথম দিন যে পরিমাণ দর্শক টানা অনেক তারকার কাছে স্বপ্ন, দশক দিনেও তার চেয়ে চারগুণ দর্শক হল ভরালেন গদর ২ দেখতে। প্রথম সপ্তাহেই ২৮৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল গদর ২। দ্বিতীয় সপ্তাহেও সেই বিজয়রথ অব্যাহত। প্রথম দশ দিনে দেশের বক্স অফিসে এই ছবির আয় দাঁড়িয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা। ট্রেড অ্যানালিস্টদের ধারণা মঙ্গল অথবা বুধবারেই ৪০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখাবে এই ছবি। ইতিমধ্যেই দেশের মার্কেটে আয়ের নিরিখে সলমনের ‘সুলতান’, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়'কে পিছনে ফেলেছেন সানি। গদর ২ ভেঙেছে রণবীরের সঞ্জু কিংবা আমিরের পিকে-র রেকর্ডও।
এই মুহূর্তে গদর ২ সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বাহুবলী ২ এবং পাঠান-কে। সানি-আমিশারর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্লকবাস্টার গদর ২। বর্তমানে ২০২২ সালের সর্বাধিক উপার্জিত বলিউড ছবির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘গদর ২’। প্রথমস্থানে শাহরুখের ‘পাঠান’। বিশ্ব বক্স অফিসে ১০০০ কোটির গণ্ডি পার করা ‘পাঠান’ এর দেশীয় বাজারে আয় ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা। সেই অঙ্ক পেরোতে পারবেন সানি? অসম্ভব নয় ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
এই মুহূর্তে সানির গদর ২-কে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো বিগ বাজেট কোনও ছবি নেই। ৭ই সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে শাহরুখের জওয়ান। সেই ছবি মুক্তির আগে ৫০০ কোটির ক্লাবে নিশ্চিতভাবে নাম লেখাবে গদর ২ ধারণা অধিকাংশের। আপতত ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ থাকছে সানি দেওলের হাতে। পাশাপাশি বাহুবলী ২ এবং পাঠানের চেয়ে গদর ২-এর বাজেট অনেক কম হওয়ায়, এই ছবির লাভের পরিমাণ অনেকটা বেশি।