নীনা গুপ্তার বিপরীতে ‘বধাই হো’ ছবিতে অভিনয়ের পর থেকে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেতা গজরাজ রাও। ‘শুভ মঙ্গল জ্যাদা সাবধান’ ছবিতেও নীনার সঙ্গে জুটি বেঁধে ছিলেন তিনি। দুটি ছবিই হিট। পর্দায় গজরাজ ও নীনার জুটি বহু সিনেমাপ্রেমীরই বেশ পছন্দের। যদিও বহুদিন ধরেই সিনেমার দুনিয়ায় রয়েছেন গজরাজ। একসময় বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছেন গজরাজ।
সাক্ষাৎকারে নিজের পুরনো দিন, কঠিন সময়ের কথা বলে গজরাজ বলেন, সম্প্রতি এক কাস্টিং ডিরেক্টর তাঁকে পারিশ্রমিক কমানোর কথা বলেছিলেন। তখন তিনি তাঁকে বলেন, ‘এই বয়সে এসে এখন অন্তত আমি জীবনে কিছুটা বিলাসিতা আশা করতে পারি। কারণ, একটা সময় অনেক কষ্ট করেছি।’
আরও পড়ুন-আলিয়ার কাছে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলেন করণ জোহর, হয়েছেটা কী?
আরও পড়ুন-'পাঠান জওয়ান হয়ে গেল যে'! শাহরুখের সিনেমার প্রিভিউ দেখে ঠিক কী বললেন ভাইজান সলমন?
গজরাজ বলেন, ‘একসময় আমি ফ্রিতেও অনেক কাজ করেছি। একসময় আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য চারপাশে কাউকে পাইনি। সেসময় আমার আর্থিক অবস্থা খুবই করুণ ছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে এখন হয়ত এটা আমার পক্ষে বলা সহজ। কিন্তু যখন আপনার কাছে খাবার ছিল না, তখন সমস্ত স্বপ্ন এবং কল্পনাগুলি আকাশে ছুঁড়ে দেওয়া কয়েনের মতোই মনে হত। সেই সময়ে পরিবারের ভরণপোষণ করাটাও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ তিনি বলেন, যখন আমি লাইভ থিয়েটার দেখেছিলাম তখন সেটা ছিল আমার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট , তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৯।'
গজরাজ বলেন, ‘আমি এখন আর্থিক নিরাপত্তা চাই, কারণ আমি ২৫-৩০ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন আমি দামি ফোন ব্যবহার করি, বেড়াতে যাই, সুন্দর হোটেলে থাকি, এটা স্বীকার করতে আমার কোনও লজ্জা নেই। ৫-তারা হোটেলে থাকা এবং বিজনেস ক্লাসে বেড়াতে যাওয়ার জন্য এখন আর দুঃখ করতে চাই না। এখন আমি এটা নিজের জন্য চাই এবং আমি আমার পরিবারের জন্যও চাই। আমি ওদের সেরাটা দিতে চাই। কেউ অসুস্থ হলে এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে আমি আর এই বয়সে দ্বিধাগ্রস্ত হতে চাই না।’
গজরাজের কথায়, ‘কিছুদিন আগে এক কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে পারিশ্রমিক কমাতে বলেন। তাঁর দাবি, মাত্র ২০ দিনের তো কাজ। তখন আমি ওকে বলি যে আমি সেই ২০ দিনের জন্য চার্জও নিচ্ছি না। আমি প্রায় বিনামূল্যে কাজ করছি। ওকে বলি, আমি শ্যুটিংয়ে আসার জন্য যে সমস্ত হোমওয়ার্ক করেছি তার জন্য চার্জ করছি। ওই সমস্ত দিনের জন্য পারিশ্রমিক চেয়েছি। একদিন এমনও দিন গেছে খালি পেটে ক্ষুধার্ত থেকেই ঘুমিয়ে পড়তাম। গালাগালি শুনতাম। আমি টাউন থেকে আন্ধেরি পর্যন্ত পায়ে হেঁটেও গিয়েছি… । তাই সেটা দেখতে গেলে এই ২০ দিন আমি বিনামূল্যেই কাজ করছি।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গজরাজ রাওকে দেখা গিয়েছে কার্তিক-কিয়ারার সত্যপ্রেম কি কথা' ছবিতে।