বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে নাম আসে মাহিমা চৌধুরীর। ‘পরদেশ’ ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন অভিনেত্রী। এই ছবিতে মাহিমার সঙ্গে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন শাহরুখ খান। সুপারহিট হয়েছিল সেই ছবি। ছবিতে মহিমার অভিনয়ও বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
কেরিয়ারে অনেক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন মহিমা। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন অভিনেত্রী। মাস কয়েক আগেই অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। চিকিৎসার সময়ও কাজ করছেন এবং মা হিসেবেও সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন নায়িকা।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন মহিমা চৌধুরী। সেই দুর্ঘটনায় মুখে আঘাত পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মহিমা বলেছিলেন, ‘আমার ২টি ছবি পরদেশ ও দাগের পর আমি অজয় দেবগণের ছবি দিল কেয়া কারে-তে কাজ করছিলাম। সেই সময় স্টুডিওতে যাওয়ার সময় আমি দুর্ঘটনার মুখে পড়ি। আমার গাড়ির সমস্ত কাঁচ ভেঙে মুখে আঘাত পাই। মনে হচ্ছিল যেন মরে যাব। সেই সময় আমাকে সাহায্য করার জন্য কেউ ছিল না। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর যখন মুখ দেখলাম, ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। অস্ত্রোপচারের পর আমার মুখ থেকে ৬৭টি কাচের টুকরো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’ আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যে মাইল্ড স্ট্রোক হয় প্রিয়াঙ্কার! ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন দিদিকে
২০০৬ সালে ববি মুখোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মহিমা। ২০১৩ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁদের একমাত্র কন্যাসন্তানের নাম আরিয়ানা। বিবাহবিচ্ছেদের পর মহিমার সঙ্গেই থাকে তাঁর মেয়ে।
বিবাবিচ্ছেদ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে একবার মহিমা বলেছিলেন, ‘প্রথমে কিছু সমস্যা ছিল, কিন্তু পরে বাবা-মাকে বলিনি কারণ আমার মনে হয়েছিল এটুকুই তো সমস্যা হচ্ছে, আর কোনও সমস্যা নেই। তারপর দ্বিতীয় সমস্যা এলো, তা-ও আড়ালেই থেকে গেল। আমার বাচ্চা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু গর্ভপাত হয়েছিল। দ্বিতীয় বারও গর্ভপাত হয়।’ এসব নিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। আরও পড়ুন: ‘সমস্ত ধারার ছবিতে সফল ভাবে কাজ করেছেন’, বাবা ধর্মেন্দ্রকেই ‘আইডল’ মানেন সানি
মহিমার কথায়, ‘যখনই আমাকে কোনও কাজে বাইরে যেতে হতো, কোনও অনুষ্ঠান যেতে বা অনুষ্ঠান করতে হতো, আমি মেয়েকে আমার মায়ের বাড়িতে ড্রপ করে দিতাম। সেখানে থাকতে গিয়ে দেখলাম, নিজেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’
মহিমা একাই মেয়েকে বড় করছেন। এ প্রসঙ্গে মাহিমা বলেছিলেন, ‘আমি সিংগল মাদার ছিলাম এবং আমার উপার্জন করা দরকার ছিল। সন্তানকে নিয়ে শ্যুটিং করা কঠিন হয়ে পড়ত কারণ তখন সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো সময় থাকত না। তারপর কিছু টিভি শো বিচার করা শুরু করলাম। কিছু ফাংশনে ফিতা কাটার জন্য গেলাম। হাতে ভালো টাকাপয়সা আসতে শুরু করল। এখন যখন আমি পিছনে ফিরে তাকাই, আমি বুঝতে পারি একজন অভিনেত্রী হিসাবে সবকিছুর মধ্যে দিয়ে ব্যর্থ হয়েছি।’