ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য। একাধিক ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন প্রিয়াঙ্কা। শ্যুটিংয়ের চাপে শরীরের খেয়াল রাখতে পারেননি তিনি। এরপর জানান, একবার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর।
‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকে নেগেটিভ রোলে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার। ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা জানান, ‘অপরাজিতা অপু’ ধারাবাহিকের শেষ কয়েকদিনের শ্যুটিং বাকি ছিল। অন্যদিকে ওয়েব সিরিজের শ্যুটিংয়ের চাপ ছিল। বাড়িতে দাদার বিয়ের তোড়জোড়, ব্যস্ততা। ফলে নিজের শরীরের প্রতি অযত্ন করছিলেন তিনি। আরও পড়ুন: ‘সমস্ত ধারার ছবিতে সফল ভাবে কাজ করেছেন’, বাবা ধর্মেন্দ্রকেই ‘আইডল’ মানেন সানি
আন্দুলের বাড়ি থেকে নিয়মিত টালিগঞ্জ যাতায়াত, অল্প ঘুমিয়ে ব্ল্যাক কফি খেয়ে শ্যুটিং করছিলেন প্রিয়াঙ্কা। অভিনেত্রীর কথায়, সেই সময় তাঁর মাথা ঘুরত, হাত কাঁপার মতো অনুভূতি হত। এরপরই আচমকা দাদার বৌভাতের দিন একটু বেশিই শরীর খারাপ করে তাঁর।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, রাতে বারবার মাকে বলেছিলেন আলো নিভিয়ে দিতে। শরীরে অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। পরদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি অনুভব করেন, দাঁত মাজতে গিয়ে খেয়াল করেন মুখ থেকে জল বেরিয়ে যাচ্ছে। চোখ ডলতে পারছেন না। সেটে গিয়ে সংলাপ পর্যন্ত বলতে পারছিলেন না। আরও পড়ুন: এই অক্টোবরে বিয়ের পিঁড়িতে আলি-রিচা! মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে বসবে বিয়ের আসর
শরীর এমন আচমকা অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে ছোটেন তিনি। চিকিৎসকের জানান, মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে তাঁর। মুখের ডানদিকের নার্ভাস সিস্টেম ড্যামেজ হয়েছে। এরপরই অনেক কড়া কড়া ওষুধ দেন চিকিৎসক। টানা বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ধারাবাহিকের শ্যুটিংও বন্ধ রাখতে পারবেন না তিনি। ওষুধ খেয়েই শ্যুটিং করতে হত তাঁকে। প্রিয়াঙ্কা জানান, সে সময়ে সেটের সকলেই তাঁকে খুব সাহায্য করেছিলেন। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ নায়িকা।