নব্বইয়ের দশকে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক সুপারহিট গান। নব্বইয়ের দশকে শাহরুখ খানের কন্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এই বাঙালি গায়ক। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ঠোঁটকাটা ব্যক্তিত্ব হিসাবে পরিচিত অভিজিৎ। আরও পড়ুন-শাহরুখের সঙ্গে অফস্ক্রিনে রসায়ন কেমন? খোলামেলা জবাব ‘টাইগার’ সলমনের
এআর রহমান থেকে অরিজিৎ সিং, চাঁচাছোলা ভাষায় এই তারকাদের আক্রমণ করেছেন অভিজিৎ, বাদ পড়েননি শাহরুখ খানও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিং খানকে নিয়ে সুর খানিকটা নরম করলেন অভিজিৎ। বলিউড বাদশাকে 'অ্যান্টি-ন্যাশনাল' হিসাবে মানতে না-রাজ তিনি, যারা শাহরুখকে দেশ-বিরোধী বলে আক্রমণ করে তাদের একহাত নিলেন ‘আই অ্যাম দ্য বেস্ট’ গায়ক। কিন্তু শাহরুখের জন্য প্লে-ব্যাক করা কেন বন্ধ হল তাঁর?
বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে খানিক বিরত থাকলেন অভিজিৎ। লেহরে রেট্রোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শাহরুখ একজন ‘সেলফ-মেড স্টার'। তাঁর কথায়, ‘আমারা দুজনেই বৃশ্চিক রাশির। আমার জন্মদিন ৩০শে অক্টোবর, ওঁর ২রা নভেম্বর। আমাদের স্বভাবটা অনেকটা এক রকমের। আমারা নাক-উঁচু এমনটা নয়, কিন্তু আত্মসম্মানবোধ রয়েছে। আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে, সেটা আমি সমাধানের চেষ্টা করেছি বেশ কয়েকবার,কিন্তু উনি খুব বাণিজ্যিক স্বভাবের মানুষ। শাহরুখ তোমাকে ব্যবহার করবে, তারপর নিজের সাফল্যের রাস্তা থেকে আপনাকে সরিয়ে দেবে। কিন্তু তার মানে আপনি তাঁকে অ্যান্টি-ন্যাশনাল বলবেন এটা সঠিক নয়। শাহরুখের চেয়ে বড় জাতীয়তাবাদী আমি দেখেনি।’
অভিজিৎ-এর কথায় শাহরুখ তাঁর ছবিতে দেশপ্রেমকে বরাবর গুরুত্ব দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে তিনি ‘ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’, ‘স্বদেশ’, ‘চক দে ইন্ডিয়া’র মতো ছবির কথা বলেন। অভিজিৎ আরও বলেন, ‘শাহরুখ সবসময় নিজের ছবিতে হিন্দু ধর্মের প্রচার করেছন।…. বাকি খানেদের মধ্যে একমাত্র শাহরুখই জাতীয়তাবাদী। বাকিদের দেশ নিয়ে কোনও লেনাদেনা নেই’।
শাহরুখের সঙ্গে অভিজিৎ-এর পেশাদার সম্পর্কের সূত্রপাত ১৯৯২ সালের ‘দিওয়ানা’ ছবির সঙ্গে। শাহরুখের লিপে অভিজিৎ-এর গাওয়া ‘ডর’ ছবির ‘এয়সি দিওয়ানগি’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিল। এরপর ‘বাদশা’, ‘জোশ’, ‘চলতে চলতে’-র মতো অজস্র ছবিতে শাহরুখের জন্য হিট গান গেয়েছেন এই বাঙালি গায়ক। শেষ ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে শাহরুখের হয়ে প্লে-ব্যাক করেছিলেন তিনি।
মিডিয়ায় শাহরুখকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে দুজনের পেশাদার সম্পর্কে ফাটল ধরে, সেই দূরত্ব আজও মেটেনি।