তিলোত্তমার নজরুল মঞ্চে কনসার্ট করার পরই আচমকা অসুস্থ বোধ করেন গায়ক কে কে। এরপর হোটেল থেকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সোমবার কে কে-এর কনসার্ট প্রসঙ্গে নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। আগেই থেকে সেই ভিডিয়ো নিয়ে নেটদুনিয়ায় চর্চার শেষ ছিল না। গায়কের মৃত্যুর পর মুম্বইয়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুনাথকে নিয়ে শহরবাসীদের মধ্যে এত উত্তেজনাকে কটাক্ষের ভিডিয়ো আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলার শিল্পীদের ভুলে কেকে-কে নিয়ে এত উন্মাদনা মেনে নিতে পারেননি রূপঙ্কর। তাঁর কথায়, কেকে যে দুর্দান্ত গায়ক, সে নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের নিয়ে সেই উত্তেজনা বোধ করেন না কেন? কে কে-র গান শুনে যা বুঝলাম তার থেকে আমরা সকলেই বেশি ভালো গান গাই। তারপরেও কে কে কিংবা মুম্বইকে নিয়ে এতো উত্তেজনার কারণ কী? আমরা অনেক কে-এর থেকেই ভালো।’
রূপঙ্করের মন্তব্য ঘিরে যখন দু-ভাগ নেটদুনিয়া, সেই সময় গায়কের ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে সিধুর মন্তব্য, ‘কে কে চলে গেলেন.. ওঁনাকে শ্রদ্ধা এবং চিরকালীন ভালোবাসা… রূপঙ্কর ক্যাকটাস নাম উচ্চারণ করেছে বলে- কমেন্ট লেখার দায়বদ্ধতা!! আমি নিজেকে নেহাতই দুর্বল গায়ক মনে করি, উন্নতির চেষ্টা অবশ্য ছিল এবং আছে..।'
তিনি আরও লেখেন, 'রূপঙ্করের প্রকাশটা দেখলেন, শুনলেন, অভিমানটা বুঝলেন না? প্রত্যেক মুহূর্তে আমাদের বলিউড কালচারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়.. কলকাতায়/ বাংলায়.. বাংলা গানকে লড়তে হয় বলিউডের বিরুদ্ধে… গান তো গান, বলিউডের কোয়ালিটিও দারুণ!! কিন্তু বাংলা গানকে ব্রাত্য করতে প্রস্তুত? দক্ষিণ ভারত কিন্তু নিজস্ব ইচ্ছায়, নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রেখেছে!! ‘কে কে কে?’ আমি এই জিনিসটা সমর্থন করতে পারছি না। কিন্তু পয়েন্টটা বুঝতে পারছি।'